করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে। ডার্ক ওয়েবে দেয়া এক গোপন প্রতিবেদনে WHO থেকে জানানো হয়, ইয়াবা সেবন ও নিষ্ঠার সাথে ইয়াবা ব্যবসা করলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফের জনসাধারণের উপর চালানো এক জরিপ থেকে এমন তথ্য পায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইয়াবা ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্লোজ কন্টাক্টই মূলত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। অনেককেই ব্যবসা মেইনটেইন করতে দেখা করতে হয় দেশ-বিদেশের নানান মানুষের সঙ্গে। তাছাড়া পেটে করে কিংবা মলদ্বারে করে ইয়াবা বহনে ফুসফুস থেকে শুরু করে পেটেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। WHO এই অপ্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, যেহেতু ইয়াবা ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার কোন সিস্টেম নেই, তাই এই জাতীয় ব্যবসায়ীদের নেশা এবং পেশার টানে ঘর থেকে বের হতে হয়। অন্যের সাথে ডিল করতে হয়। মাল আদান-প্রদান থেকে শুরু করে টাকা পয়সার লেনদেন ইত্যাদি কাজে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।
ইয়াবা সেবনেও রয়েছে আক্রান্ত হওয়ার সমান ঝুঁকি। করোনাভাইরাসের কিছুটা নেশার দোষ আছে জানিয়ে ইয়াবা সেবনকারীদের সতর্ক করে WHO বলে, 'ফুসফুস পেলে এমনিতেই করোনা হাই হয়ে যায়, এর মধ্যে রক্তে আবার ইয়াবা পাওয়া গেলে করোনা ঘুম-টুম ভুলে ফোর-ফোরটি পাওয়ারে সংক্রমণের কাজ শুরু করে।'
ইয়াবা সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে পরামর্শমূলক এই সিক্রেট প্রতিবেদনে WHO আরও জানায়, 'সেবনের আগে ইয়াবা বড়িকে স্যানিটাইজারে বা সাবান পানিতে চুবিয়ে নিলে হয়তো কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায়। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছেই!'
তবে এই গোপন প্রতিবেদন তৈরির ঘন্টাখানেক পরেই WHO এর অন্য এক গবেষক আঁতকে উঠে বলেন, 'ওরে বাবা, স্যানিটাইজারে চুবালে ঝুঁকি একটু বেশি। যেহেতু স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল রয়েছে, তাই করোনার ট্রিপল নেশাও হয়ে যেতে পারে।'
কক্সবাজারের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও এলাকার যুবকদের 'বাবা সমতুল্য' ব্যক্তি আবদুর রহমান বদির করোনা আক্রান্ত হওয়ার সাথে এই প্রতিবেদনের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, এমনটা জানতে চাইলে WHOর ঐ কর্মকর্তা পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'বদি... Who?'
[eআরকি একটি স্যাটায়ার ওয়েবসাইট। এখানে প্রকাশিত যেকোনো খবর নিজ দায়িত্বে বিশ্বাস করুন। নিজে দায়িত্ব না নিতে পারলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন, আমরা তা নিতে আগ্রহী নই]