প্রথম চেষ্টায় হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারার খুশিতে সারাদিন মাহফুজ স্যারের গান শুনলেন তরুণ

৬৬৯ পঠিত ... ২১:৪২, জুন ০৯, ২০২০

একবারেই হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে সারাদিন স্যার মাহফুজের গান শুনলেন জনৈক তরুণ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের এক গ্রামে। খুশিতে তিনি গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলেও জানা গেছে। 

অবশ্য আমরা সঙবাদ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো মিষ্টি পাইনি। কপালে না থাকলে যা হয় আরকি! 

ছেলেটার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলেটির রুম বন্ধ। অভিভাবকের দেওয়া তথ্য মতে, ছেলেটি গতকাল সারাদিন কিছু খায়নি। প্যাঁচ খোলার  খুশিতে দরজা বন্ধ রেখেছে। তাঁর আর স্যার মাহফুজের মাঝখানে তিনি কাউকে আসতে দিতে চান না। 

অনেকক্ষণ হাত নাড়িয়ে ইশারায় অনুরোধ করার পর তিনি কান থেকে হেডফোন খুলতে রাজি হলেন। তবে হেডফোন কান থেকে খুলেও যেন তিনি সঙ্গীতের জগতেই হারিয়ে রইলেন, গুনগুন করে গাইলেন, ‘হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারি না আমি সারারাত ধরে, বুকের ভেতরটা হাহাকার করে…’

ঠিক কী হয়েছিল আপনার সাথে, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'একটা প্যাচায় যাওয়া রিলেশন এক ধাক্কায় ঠিক হয়ে গেলে কেমন লাগতো আপনার? হেডফোনের প্যাঁচ খোলা তো তার চেয়ে হাজারগুণ কঠিন। এক চান্সে কখনও হেডফোনের প্যাঁচ খুলে যাবে, সত্যিই ভাবতে পারিনি। আর এই তো, তারপর থেকেই স্যারের গান শুনতেছি।' 

তবে এরপরই তিনি ব্যাপারটা একটু খোলাসা করেন, ‘আসলে এক চান্সে কখনও হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারলে নিজেকে একটা ডিয়ার দেবো ভেবেছিলাম। বলতে পারেন সেইটারই অংশ।’

কিন্তু ব্যাপারটা নিজের প্রতি বেশি অমানবিক হয়ে গেলো না? এমনটা বলতেই তিনি দ্বিমত প্রকাশ করেন, ‘এটা বলতে পারেন, একরকম গিলটি প্লেজার। তাছাড়া মনটা এতই ভালো লাগছে, গানগুলো তেমন খারাপ মনে হচ্ছে না। শুনেন না, শুনে দেখেন একটু। দাঁড়ান, লাইডস্পিকারে ছাড়ি…’

এই পর্যায়ে আমাদের প্রতিবেদক তাড়াহুড়া করে নার্ভাস হয়ে জানালা দিয়েই পালিয়ে যান।  

৬৬৯ পঠিত ... ২১:৪২, জুন ০৯, ২০২০

Top