বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ ওষুধের দোকানদাররা

২১৮১ পঠিত ... ১৩:১৪, জুন ০৯, ২০২০

আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফার্মেসি বিভাগে। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার প্রসার এবং গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক প্যানেলকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই ফলশ্রুতিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন এক বা একাধিক অভিজ্ঞ ওষুধের দোকানদার।

তবে দেশে ফার্মেসি শিক্ষায় এই নজরদারি এবং গুরুত্ব প্রদানের পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একটি গঠনমূলক বক্তব্য। সম্প্রতি এক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ফার্মাসিস্টরা ওষুধের দোকানে কাজ করেন এবং করোনা মোকাবেলায় ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার।' আর এতেই টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।

শীঘ্রই অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন এমন একজন অভিজ্ঞ ওষুধের দোকানদারের সাথে কথা হয় আমাদের৷ নিজের ওষুধের দোকান দেখিয়ে তিনি বলেন, 'এটা আদতে দোকান নয়। এটা আমার ল্যাবরেটরি। অভিজ্ঞতাগুলো এখান থেকেই অর্জিত হয়েছে। এতদিনের এই অভিজ্ঞতা এবার আমি ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই।'

ছাত্রদের প্রথমে কী শেখাবেন, এমন প্রশ্নে ওই অভিজ্ঞ ওষুধের দোকানদার হেসে বলেন, 'ডিলিং! সফল ফার্মাসিস্ট হতে হলে কাস্টমারের সাথে দক্ষ হাতে ডিল করা শিখতে হবে। কাস্টমার কী চায় সেটা মন দিয়ে শুনতে হবে।'

জানতে হবে কোন ওষুধের দাম কত, এমনটা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, 'ফার্মাসিস্টকে গোটা দোকানের ম্যাপটা মাথায় সেভ করে রাখতে হবে। কাস্টমার মুখে 'নাপা' উচ্চারণ করলে এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে সব ধরনের প্যারাসিটামল নিয়ে হাজির হতে হবে।'

তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'ফার্মাসিস্টকে অবশ্যই হইতে হবে বুদ্ধিদীপ্ত। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিটিভদের চটকদার কথার ফাঁদে পা দিলে চলবে না। আর প্রেশার মাপার কাজেও দক্ষ হওয়া চাই!'

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানিয়েছে, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক পদের জন্য অজস্র এপ্লিকেশন এসেছে তাদের কাছে। সেখান থেকে প্রকৃত অভিজ্ঞ ওষুধের দোকানদার খুঁজে পেতে সময় লাগছে।

একটি ভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের অফিস সহকারী এ ব্যাপারে আমাদের কানের কাছ এসে ফিসফিস করে বলেন, 'অনেকের দোকানের বয়স দুই বছর। তারাও এপ্লিকেশন দিছে। অধ্যাপক হইতে চায়। আমার বাসার সামনের ফার্মেসির মোখলেস, সেও এপ্লাই করছে! সাধ কত! অগো রিজেক করা হইছে। ঘাঘু মালগো খুইজা পাইতে বাছাই প্রক্রিয়া চলতেছে...'

২১৮১ পঠিত ... ১৩:১৪, জুন ০৯, ২০২০

Top