করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে গরিবের শক্তি ব্যবহার করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৭৬৪ পঠিত ... ২২:৪৬, জুন ০৪, ২০২০

করোনার ভ্যাক্সিনের অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের সেই সংগ্রামকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও এতদিনে করোনার ভ্যাক্সিন তো দূরের কথা, করোনার কোনো প্রতিষেধকও উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। তবে সুদিন আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। সাংবাদিকদের জানিয়েছেন করোনা প্রতিরোধের এক বিস্ময়কর টোটকা।

বৃহস্পতিবার (৪ ‍জুন) শ্রমিকদের জন্য করোনা ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'যে তুলনায় শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল, সংখ্যাটি কিন্তু সেই তুলনায় খুবই কম। কারণ গরিব মানুষের এক ধরনের শক্তি থাকে। তারা লড়তে জানে। তারা সচেতন এবং তারা অসুস্থ হবে না বলেই ধরে নেন। সেই শক্তি নিয়েই তারা কাজ করেন।’

কথাটি প্রচারিত হওয়ার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। অনেকেই রুবানা হকের এমন 'ক্যাপিটালিস্ট' মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তবে হইচই পড়ে গেছে গোটা চিকিৎসাবিশ্বে! গবেষকরা বলছেন, গরিবের শক্তি প্রয়োগ করেই করোনার ভ্যাক্সিন তৈরি করা সম্ভব।

রুবানা হকের মন্তব্যটি সারাবাংলা ডটকমে পড়ার পরপরই উত্তেজত হয়ে লাইভে চলে আসেন WHO এর গবেষক আইজ্যাক পোরম্যান। মুখে থাকা মাস্ক খুলতে খুলতে তিনি বলেন, 'মাস্ক আর পরবোই না। বউ প্রতিদিন বলে আমি নাকি গরিব। আমার মতো গরিব নাকি সে আর দেখে নাই। সেই হিসাবে তো আমার করোনা হওয়ার কোনো চান্সই নাই।'

উত্তেজনা হালকা কমে আসলে তিনি জানান, 'আমরা করোনার ভ্যাক্সিন তৈরিতে সবরকম এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলেছি। কিন্তু গরিবের মধ্যে যে এমন করোনা প্রতিরোধক শক্তি আছে, তা জানতাম না। সব দেশেই কিন্তু বড়লোকরা লকডাউনে-আইসোলেশনে থাকলেও গরিবরা কাজকাম ঠিকই করছে, আক্রান্তও হচ্ছে না। হেটার্সরা হয়তো বলবেন যে তারা আক্রান্ত হলেও আমরা জানতে পারছি না, কারণ করোনা টেস্ট করাতে যত টাকা লাগে অনেকের মাসিক বেতনও তার চেয়ে কম। তবে সেসব কথা কানে নিয়ে তো করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে দেরি করতে পারি না, কী বলেন?'

কীভাবে বানানো হতে পারে ভ্যাক্সিন? একটি জটিল চার্ট দেখিয়ে পোরম্যান বললেন, 'আমরা সব দেশের একজন করে গরিব মানুষের ডিএনএ সংগ্রহ করবো। তারপর সেগুলো দিয়ে যে ভ্যাক্সিন তৈরি হবে, আমার ধারণা সেটা দিয়ে করোনা তো বটেই, সার্স-মার্স সব সারানো সম্ভব।'

গরিবের শক্তি আসলে কালিজিরার মতো সর্বরোগের ওষুধও হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখিয়ে তিনি বলেন, 'গরিব মানুষের কখনো কোনো রোগ হইতে দেখছেন? দেয়ার আর সো মেনি থিন্স উই ডোন্ট নো ইয়েট!'

তবে শুধু চিকিৎসাক্ষেত্রে নয়, শিল্পক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে গরিবের এই এক্সক্লুসিভ শক্তি। ইতোমধ্যে হরলিক্স দুধের সাথে গরিবের শক্তি মিশিয়ে করোনা প্রতিরোধক হরলিক্স তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে হরলিক্সের এক প্রতিনিধি বলেন, 'করোনার সাথে গরিবের শক্তি মেশাও, পুঁজিবাদের শক্তি বাড়াও।'

৭৬৪ পঠিত ... ২২:৪৬, জুন ০৪, ২০২০

Top