বাংলাদেশে যেকোনো গ্যাঞ্জাম-শোরগোল হলেই আমরা আমেরিকার দূতাবাসকে উদ্বেগ জানাতে শুনি, দেখি। টেবিল ঘুরে গেছে, গণ্ডগোলের হোমটাউন এই মুহূর্তে আমেরিকা। এখন যদি দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসা উদ্বেগ প্রকাশ করে, কেমন হতে পারে সেই খবরটি? আমাদের উদ্বিগ্ন আইডিয়াবাজরা কল্পনা ডটকম থেকে পেয়েছেন সেই কাল্পনিক খবরের লিংক-
জর্জ ফ্লয়েড নামক একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হত্যার ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলছে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ৷ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া উত্তাল বিক্ষোভের সাথে চলছে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা। এছাড়া বড় বড় শহরে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া তো আছেই। উদ্ভুত এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস। দূতাবাস থেকে ওখানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে ওখানকার বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বলা হয়, 'আমরা জানি, আপনারা এরকম পরিস্থিতির সাথে পরিচিত নন। সারাজীবন সবাইকে ধলা আর কাইল্লা বলে গালি দিয়ে আসায় আপনারা বর্ণবাদ ব্যাপারটাও হয়তো বুঝবেন না। কিন্তু এটুকু নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে ঘটনা সুবিধার না। তাই নিরাপদে থাকুন৷ সতর্ক থাকুন।'
বাইরে বের হবেন না, এরকম নির্দেশ প্রদান করে আরো বলা হয়, 'আপনারা বাইরে বের হয়েও কোভিডের হাত থেকে হয়তো বেঁচে গেছেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের মধ্যে বের হইলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। তাছাড়া, আমেরিকান পুলিশের লাঠির আঘাত আপনার পেছনে পড়লে শোয়া বসায় অসুবিধা হবে। তাই নিজ দায়িত্বে এরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে চলুন।'
'your lives matter' এমনটা উল্লেখ করে দূতাবাস থেকে আরো বলা হয়, 'আপনাদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই৷ কিন্তু মনে রাখবেন, এটা ট্রাম্পের দেশ। সে নিজেই এখন বাংকারে রাত কাটাচ্ছে। তাই নিজের নিরাপত্তা নিজে দিতে শিখুন।'
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, 'বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার মত পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি৷ বরং বিক্ষোভ-সংঘর্ষ এসব দেখে তারা হোম ফিলিং পেয়ে নিজেরাই এসবে যোগ দেয় কিনা, এই নিয়ে আমরাই ভয়ে আছি। আমরাই নিজ দায়িত্বে বাংলাদেশিদের রাজপথ থেকে দূরে রাখব।'