ফ্যান ঠিক করতে না পারায় ইঞ্জিনিয়ার ছেলের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেললেন মা

৯৩২ পঠিত ... ২২:১৪, মে ৩০, ২০২০

সন্তানের উপর বাবা-মায়ের হতাশার ইতিহাস বেশ পুরোনো। 'তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না' কথাটিতো বাবা-মায়ের ট্রেডমার্ক ডায়লগই হয়ে গেছে। সম্প্রতি হতাশার এক চূড়ান্ত নজির দেখা গেছে এক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের মায়ের। একটা টেবিল ফ্যান ঠিক করতে না পারায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছেলের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে সেই ছাঁই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক মা।

eআরকির এক রিপোর্টার সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, জনৈক মা কপালে হাত দিয়ে সোফার উপর বসে আছেন। সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, '৬ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াইছি, কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছি। আর আজকে একটা ফ্যান ঠিক করতে পারে নাই। তাও আমাদের ফ্যান হইলে কিছু বলতাম না। কিন্তু ফ্যানটা ছিলো পাশের বাসার ভাবির। পুরো সোসাইটিতে আমার মান সম্মান আর থাকলো মা।'

পাশের বাসার সাদিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি আরো বলেন, 'পাশের বাড়ির সাদিয়া ডাক্তারি পড়তেছে, কী সুন্দর প্রেশার মাপতে পারে। প্রেশারের সমস্যা হলেই ডাক দিলে প্রেশার মেপে দিয়ে যায়! আর এই অপদার্থের বাচ্চা ৬ বছর ধইরা পইড়াও.....' কথা শেষ করা ছাড়াই ইঞ্জিনিয়ার সন্তানের দিকে জুতা ছুড়ে মারলে আরও সহিংসতার ভয়ে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এক পর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি সন্তানের বাবার উপরও ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সন্তানের বাবাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'হইছে আসলে বাপের মতো। আমার কিচ্ছু পায় নাই। আমি হওয়াতে এই সংসারে টিকে আছি এখনো। অন্য কেউ হলে বাপ-ছেলের কপালে লাত্থি মাইরা চইলা যাইতো।'

সার্টিফিকেট পোড়া ছাঁই হাতে নিয়ে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, 'একটা ছাঁইওয়ালী পাইলে আমাদের বাসায় পাঠায় দিও তো বাবা! ছাঁই বিক্রি করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'না! ছাঁইওয়ালীকে জিজ্ঞেস করবো, আমার এই অপদার্থ পোলাকে সে বিয়ে করতে রাজি আছে কি না!'

৯৩২ পঠিত ... ২২:১৪, মে ৩০, ২০২০

Top