উচ্চতর চিকিৎসার জন্য সীমিত আকারে ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুট খুলে দেয়ার দাবি

১১০৩ পঠিত ... ২২:২৫, মে ২৮, ২০২০

বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতের অন্যতম অর্জন ঢাকা-সিঙ্গাপুর চিকিৎসা রুট। গত কয়েক দশকে এই রুটের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি উঁচু পর্যায়ের লোকেরা সহজ, জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন, বেঁচে ফিরেছেন, কেউ কেউ মারাও গেছেন। অথচ করোনার এমন ভয়াবহ সময়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশ চিকিৎসাখাতের এই গুরুত্বপূর্ণ রুট বন্ধ রয়েছে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই রুটের মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়া উচু পর্যায়ের লোকেরা। উচ্চতর চিকিৎসা পেতে 'সীমিত আকারে' হলেও খুলে দেয়ার দাবি তুলে বাংলাদেশের 'মাউন্ট এলিজাবেথ পেসেন্ট ফোরামের (মেফ)' সভাপতি বলেন, সাধারণ সময়ে ঢাকা-সিঙ্গাপুর চিকিৎসা রুট খোলা থাকে। অথচ করোনাকালীন এমন হেলথ ইমারজেন্সিতে এই রুট খোলা নেই। এইটা সরকারের কেমন সিদ্ধান্ত? সঠিক সময়ে যদি সঠিক সেবাটি নিতে না পারি তাহলে চিকিৎসাখাতে এত উন্নয়ন দিয়েই বা আমরা কী করবো?'

লকডাউনের 'সীমিত আকার' প্যাকেজের সকল সুবিধা থেকে উচু পর্যায়ের লোকেরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলেও জানান মেফের এই সভাপতি। 'সীমিত আকারের সকল সুবিধা কী তবে গরিবদের জন্য?' এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'সরকার সীমিত আকারে দোকানপাট খুলে দিয়েছে, কলকারখানার কর্মীদেরও কাজে ফিরিয়ে এনেছে, এমনকি গণপরিবহনও খুলে দিয়েছে। যেন গরিবেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আসতে পারে। আমরা কী দোষ করেছি? আজ বড়লোক বলেই কি আমরা এত বৈষ্যমের শিকার? এভাবে আর কতদিন বড়লোকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?'

মানবিক দিক বিবেচনা করে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, 'গরিব-বড়লোক বৈষম্য না করে সরকারের উচিত আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, সরকারের উচিত ঢাকা-সিঙ্গাপুর চিকিৎসা রুট খুলে দেয়া। লকডাউনের মধ্যেও যেহেতু সীমিত আকারে সব খুলেছে, আশা করি এইটা কঠিন হবে না সরকারের জন্য।'

১১০৩ পঠিত ... ২২:২৫, মে ২৮, ২০২০

Top