টকশো আতঙ্কে টিভি দেখা ছেড়েছেন, এবার লাইভ আতঙ্কে ফেসবুক ছাড়ছেন ফেসবুকাররা

১৬৯০ পঠিত ... ১৬:২৩, মে ২১, ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি ফেসবুকেও দেখা দিয়েছে লাইভ বিপর্যয়। করোনাকালের আগের এফ কমার্সের আওতাধীন থ্রিপিছ, শাড়ি, গহনা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি উদ্যোগে যোগ হয়েছে নানান লাইভ অনুষ্ঠান। গান, নাচ, মোটিভেশন, রূপচর্চা, কবিতা, ইন্টারভিউ কিংবা স্রেফ আড্ডা দেয়ার জন্যই সবাই চলে আসছেন ফেসবুক লাইভে। তাই ফেসবুক নিউজফিড পুরোটাই চলে গেছে লাইভের দখলে।

এই ফেসবুক লাইভ বিপর্যয়কে টিভি চ্যানেলের টকশো বিপর্যয়ের সাথেও তুলনা করছেন অনেকে। টকশো আতঙ্কে মানুষ যেমন টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দিয়েছে, তেমনি ফেসবুকাররাও লাইভ আতঙ্কে ধীরে ধীরে ছেড়ে দিচ্ছে ফেসবুক। আকস্মিকভাবে কমে যাচ্ছে ফেসবুক ব্রাউজ করা মানুষের সংখ্যা। তিন ঘন্টা ফেসবুক নিউজফিড স্ক্রল করেও লাইভ ব্যতীত অন্য কোন পোস্ট না পেয়ে এক ফেসবুকার বলেন, 'টকশোর কারণে টিভি বিক্রি করে দিয়েছি, এবার ফেসবুক লাইভ আতঙ্কে মনে হচ্ছে মোবাইলটাও বিক্রি করে দেয়া লাগবে।'

তবে অনেকেই বলছেন, তাদের এই ট্রমা এখন শুধু ফেসবুকে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য জীবনমুখী লাইভেও। লাইভ ক্লাস, লাইভ রিয়ালিটি শো এমনকি লাইভ খেলা দেখার প্রতিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে মানুষ। লাইভ আতঙ্কে কুপোকাত এমনই একজন বলেন, 'ভাই এক কোনায় লাইভ দেখা থাকলেই এখন আর সেইটা দেখি না। মনে হয় লা-লিগায় প্রিয় বার্সা-রিয়ালের লাইভ খেলাও আর দেখতে ইচ্ছা করবে না।'

লাইভ বিপর্যয়ের এই প্রভাব পড়েছে গেমারদের জীবনেও। ধীরে ধীরে প্লে স্টোর, প্লে স্টেশনের অনলাইন লাইভ গেমের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তারা। করোনা আসার পর থেকেই টানা অনলাইন লুডুস্টার খেলা এমনই একজন বলেন, 'কারো সাথে লাইভ লুডু খেলছি এটা দেখতেও এখন ভয় লাগে। সেজন্য অফলাইনে একা একা লুডু খেলি।'

তবে এমন বিপর্যয় থেকে ফেসবুককে মুক্ত করতে ইতোমধ্যেই সচেষ্ট হয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। নিজের একটি ফেক আইডি থেকে তিনি নিজেও লাইভে এসে বলেন, 'লাইভের ভয়ে আমি নিজেই ফেসবুকে ঢুকতে পারছি না। সেদিন এক মেয়ের নিজের গায়ে স্যাভলন স্প্রে করার ভিডিও দেখার পর একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দিয়েছিলাম। পরিস্থিতি এমন থাকলে ফেসবুকেও লকডাউন দিয়ে দিতে পারি। আপাতত জাস্ট সোশ্যাল মিডিয়া এভয়েড করছি... আই ওয়াট সাম পিস!'

১৬৯০ পঠিত ... ১৬:২৩, মে ২১, ২০২০

Top