সম্প্রতি 'সেমিস্টার ফাইনাল ছাড়াই গ্রেড দিবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়' এমন এক খবরের কমেন্টবক্সে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটি কয়েক শিক্ষার্থীর কমেন্টযুদ্ধ হয়। অতঃপর ফেসবুকের চিরায়ত নিয়ম অনুযায়ী কমেন্টবক্সের কমেন্ট-দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাসে। একসময় যুদ্ধাবস্থা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ফেসবুকেই।
পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন যুদ্ধাবস্থায় বেশ বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি)। কোন পক্ষেই অবস্থান করতে না পেরে দুপক্ষ থেকেই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিইউপির বেশ কজন শিক্ষার্থী। যুদ্ধ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাসের কমেন্টবক্স থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে হতে বিইউপি শিক্ষার্থীর এক আইডি জানায়, 'সকালে ফেসবুকে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্রমণের মুখে পড়ি। আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে গেলে দলীয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পুরো জোট।'
প্রাইভেট জোটের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাবলিক বিশবিদ্যালয় জোটের কাছে বিইউপি শিক্ষার্থীদের কিছু আইডিকে সাহায্যের জন্য পাঠালে তারা আর ফিরে আসেনি। eআরকির বিশেষ অবিশ্বস্ত প্রতিনিধির দেয়া এক খবরে জানা যায়, বিইউপির শিক্ষার্থীদের আইডিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় জোটের গোয়েন্দা ভেবে আক্রমণ চালায় পাবলিক জোট। আক্রমণের এক পর্যায়ে সবগুলো আইডিকে ডিজেবল করে দিতেও সক্ষম হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জোট।
যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে বিইউপির পরবিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রণালয় নিজেদের সৈন্যদের যুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার আহবান জানালেও বিইউপির ফেসবুক আর্মিদের একপক্ষ এতে সাড়া দেয়নি। eআরকির বিশেষ প্রতিনিধিকে এই বিদ্রোহী পক্ষ জানায়, 'ফেসবুকের প্রাইভেট-পাবলিক যুদ্ধে আমরাও অংশগ্রহণ করতে চাই। দিনের পর দিন এমন মজা, রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চার থেকে কোনভাবেই আমরা বঞ্চিত থাকতে চাই না। হয় আমাদেরকে কোন পক্ষ নিয়ে নিক, নতুবা আমরা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মিলে পাবলিক ও প্রাইভেট দুইপক্ষকেই আক্রমণ করবো।'
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুগের পর যুগ ধরে চলতে থাকা প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দ্বন্দের একটা সুরাহা করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিইউপিকে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতিসংঘ আখ্যা দিয়ে প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে মধ্যস্থতা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেয় প্রতিষ্ঠানটির একটি অবিশ্বাসযোগ্য সূত্র।