ফেসবুকে এসেছে নতুন রোগ 'গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া'

৩৪৫ পঠিত ... ১০:২৫, মে ১২, ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে বাংলার ফেসবুকে গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া নামক নতুন এক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। নতুন এই রোগের ভয়ে বাংলার ফেসবুকের একাউন্টে একাউন্টে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

ফেসবুকের ভাইরালোজিস্ট বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান একটি ফেসবুক গ্রুপে এই তথ্য দেন।

গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, 'গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া মূলত ফেসবুক থেকে ফেসবুকে ছড়ায়। একই ফেসবুকীয় পরিবারের অনেকগুলো ভাইরাস নিজেদের একটা লিভিং জোন বানিয়ে একসাথে অন্যদেরকে আক্রমণ করলে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে। আক্রমণ করার মাধ্যমে এরা মূলত নিজেদের স্বজাতি খোঁজার চেষ্টা করে। স্বজাতি পেয়ে গেলে তাদেরকে নিয়ে অন্য একাউন্টের উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে।'

Shongbad 

গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে নোটিফিকেশনের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে লক্ষণ প্রকাশ পায়। মাঝে মাঝে একসাথে একাধিক ভাইরাস আক্রমণের ফলে নোটিফিকেশনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। প্রদাহের ফলে অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হন। এই ভাইরাসের মাইনর অ্যাটাকে অনেকেই ফেসবুক ডিএক্টিভ করে দেন। মেজর অ্যাটাকে খাওা-ঘুম সব বাদ দিয়ে চব্বিশ ঘন্টা ফেসবুকে থাকা শুরু করেন।

কখনো কখনো লক্ষণ প্রকাশ করা ছাড়াও এই ভাইরাস ফেসবুক একাউন্টে ঘোরাফেরা করতে পারে। নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে হুট করে ভাইরাসের প্যানিক এ্যাটাক হতে পারে।

এখনো পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া ভাইরাস প্রতিরোধের দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাস প্রতিরোধে ভাইরাসকে মেসেজ দিয়ে জানানো, ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে লিস্টের ভাইরাসদের সাবধান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ম্যাসিভ অ্যাটাকে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করার পরামর্শও দেন তারা। প্যানিক অ্যাটাক থেকে বাঁচতে, নিয়মিত নোটিফিকেশন চেক করে ভাইরাসদের লিভিং জোন থেকে লিভ নেয়ার পরামর্শও দেন।

লক্ষ লক্ষ ফেসবুক একাউন্ট থেকে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের অনুরোধ করা হলেও মার্ক জাকারবার্গের কোন ভাবোদয় না হওয়ায় অনেকে ধারণা করছেন, মার্ক নিজেই একটা ভাইরাস। তাই গ্রুপইনভাইটোফোবিয়া ভাইরাসকে তিনি নিজেই টিকিয়ে রেখেছেন।

৩৪৫ পঠিত ... ১০:২৫, মে ১২, ২০২০

Top