বদ্ধঘরে বন্দী থাকতে থাকতে সবাই যখন রিয়্যাক্ট করাই ভুলে গেছে তখন ফেসবুক নিয়ে এসেছে ব্রান্ড নিউ 'কেয়ার রিএ্যাকশন'। তবে এই কেয়ার রিয়্যাক্ট-এর মাধ্যমে কতটুকু 'কেয়ার' করা যায়, সে ব্যাপারে জনমনে শংকাও দেখা দিয়েছে। অনেকেই এটাকে 'আলগা পিরিত' হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করছেন। অবশ্য এ ব্যাপারে সংগীতশিল্পী তাহসান বললেন অন্য কথা৷ নতুন এই 'কেয়ার রিয়্যাক্ট' এর ব্যাপারে তিনি এক বাক্যে বলেছেন, 'আই ডোন্ট কেয়ার!'
কেয়ার রিয়্যাক্ট ইউজ করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে তাহসান হেসে বলেন, 'এ যেন সহজ স্বীকারোক্তি- আমি কেয়ার করি না। আসলে কেয়ার জিনিসটার প্রতি আমার বরাবরই আগ্রহ নেই। ঠিক এইজন্যই আমি কখনো কোনো কাস্টমার কেয়ারেও ফোন করিনি। এমনকি কেয়া'র কোনো কসমেটিক্সও ইউজ করি না।'
কেয়ার রিয়্যাক্ট কখনোই লাভ রিয়্যাক্টকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না, এমনটা উল্লেখ করে তাহসান বলেন, 'জীবনে ভালোবাসা আর কেয়ার কখনো একসাথে পাওয়া যায় না। এই কেয়ার রিয়্যাক্ট তারই প্রমাণ। অনেক চেষ্টা করলেও আপনি আমার কোনো ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট আর কেয়ার রিয়্যাক্ট একসাথে দিতে পারবেন না।'
তাহলে কি কেয়ার ছাড়াও ভালোবাসা টিকে থাকে, এমনটা জানতে চাইলে তাহসান কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন৷ তারপর নীরবতা ভেঙে পিয়ানোর সামনে বসে বলেন, 'দেখুন আমি এই ব্যাপারটা নিয়েই আর ভাবছি না৷ আমি এখন ফেসবুকে একটাই রিয়্যাক্ট চাই৷ সেটার নাম হল- আই ডোন্ট কেয়ার। অলরেডি আমি জাকার্বাগকে ইনবক্সে ইনফর্ম করেছি। আই হোপ হি কেয়ার্স। দ্রুতই আই ডোন্ট কেয়ার নামক রিয়্যাক্ট পেতে যাচ্ছি আমরা।'
'আই ডোন্ট কেয়ার' রিয়্যাক্ট কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য চাচ্ছি না, এমনটা জানিয়ে তাহসান বলেন, 'আমি শুধুনাত্র বামবা এবং ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসির কাভার ফটোতে এই রিয়্যাক্ট দিতে চাই৷'
নিজের ফেসবুকে 'কেয়ার রিয়্যাক্ট' খুঁজে পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তাহসানের মুখে মলিন হাসি ফুঁটে ওঠে। এরপর তিনি তার পিয়ানোতে ঝংকার তুলে 'আলো' গানের সুরে সুরে বলেন, 'কেয়ার রিয়্যাক্ট তুমি কখনো আমার হবে না৷ কেয়ার রিয়্যাক্ট আমি কখনো খুঁজে পাবোনা...পাবোনা... পাবো না..আ..আ..আ'...
[বিদ্র: আমরা কিন্তু তাহসানকে ভালোওবাসি, এবং একইসাথে উই ডু কেয়ার!]