কোয়ারেন্টাইনের এই বন্দি সময়ে সবাই যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুঁদ হয়ে আছে, তখন সাবিলা নূর হেঁটেছেন জ্ঞান অর্জনের আলোকিত পথে। নীলক্ষেত যাওয়ার সুযোগ না থাকায় অনলাইন থেকেই তিনি কিনেছেন 'হাসিতে হাসিতে পড়ি' স্লোগানের জোকার খ্যাত লেটো স্যারের বাংলাদেশ বিষয়াবলির একটি মোটা বই। ঝকমারি ডটকম থেকে অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে বইটি তিনি আনিয়েছেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি অস্কারজয়ী অভিনেতা জ্যারেড লেটোর সঙ্গে একটি লাইভ ভিডিওতে কথা হয় সাবিলা নূরের। সেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে লেটোর জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হন তিনি। আর এরপরই অনলাইনে লেটো স্যারের লেখা বই খুঁজতে থাকেন।
হঠাৎ জ্ঞান আহরণে ব্রতী হলেন কেন, এমন প্রশ্নে সাবিলা নূর বিনয়ী কন্ঠে বলেন, 'অনলাইনে লেটো স্যারের একটি ক্লাস করার পরই আমি বুঝতে পারি আমাকে আরো অনেক জানতে হবে। অনেক! তাছাড়া কোয়ারেন্টাইনের এই সময়টায় বিসিএসের প্রিপারেশনটাও হয়ে গেলে মন্দ কী!'
কোয়ারেন্টাইনের মধ্যেই পুরো বইটা মুখস্থ করতে চাই, এমনটা উল্লেখ করে সাবিলা আহ্লাদী কন্ঠে বলেন, 'বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমারেখা অধ্যায়টা খুবই পচা! জানেন, বইটা কেনার পর থেকে ওই চ্যাপ্টার নিয়েই বসে আছি। ভাল্লাগছে না!'
লেটো স্যারের সাথে আবার ভিডিওতে কথা বলবেন কিনা জানতে চাইলে সাবিলা হকচকিয়ে বলেন, 'না বাবা! স্যারের বইটা শেষ না করে আর তাকে কল দেয়াই যাবে না। নাহলে স্যার বকা দিতে পারেন।'
করোনার পর কোনোদিন সুযোগ পেলে লেটো স্যরের ফ্রি সেমিনার এ্যাটেন্ড করতে চান, এমনটাও জানিয়েছেন সাবিলা।
তবে সাবিলা নূর লেটোর লাইভে ভুল কিছু বলেননি, এমনটা জানিয়ে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার একটি ফেক একাউন্ট থেকে বলেন, 'মারিয়া শারাপোভা যদি আমাকে না চিনতে পারে, অনেক সেলিব্রেটিদেরই বাংলাদেশ না চেনার কথা। অনেকে যে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ ভাবে, এই কথাটাকেও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশিদের কতজন ভাবে, তা-ই বা কে জানে!'
[বি:দ্র: এটি যে একটি স্যাটায়ার নিউজ, এটা এখনও বলে দেয়ার প্রয়োজন আছে কি?]