বদলে গেছে ফুচকার স্বাদ। পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল ধরণের স্ট্রিটফুডের স্বাদে, ঘ্রাণে ও বর্ণে এসেছে বিরাট এক পরিবর্তন। ফলে এমন মহামারির দিনেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার পাশের ছোট ছোট স্ট্রিটফুডের দোকানগুলোতে দেখা গেছে ফুড লাভারদের ভিড়।
কেউ ফুচকা খাচ্ছেন, কেউ কেউ বা তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছেন আখের রস, ঝালমুড়ি। চটপটির দোকানেও লেগে আছে ভিড়। খাওয়ার পাশাপাশি বিস্ময়ে প্রশ্নও করছেন, কীভাবে এমন আমূল বলদে গেলো স্বাদ?
রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবর থেকে ফেসবুক লাইভে এসে ফুচকার টক খেতে খেতে একজন বলেন, ‘জাস্ট ডেলিসিয়াস। ফুচকার টক দেখেন, কী ক্রিস্টাল ক্লিয়ার! আগে মাঝে মাঝে ফুচকার আলু মুখে দিলে কেমন একটা ভ্যাপসা গন্ধ পাওয়া যাইতো মাঝে মাঝে। এটা একদম নেই। আগের ফুচকার রেটিং ৫ হইলে আজকের ফুচকার রেটিং ১০।’
লেবুর শরবত খেয়ে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই লাইভে এসে একজন বলেন, কতদিন পর সেই লেবুর ঘ্রাণ। আহ! আগে তো লেবু খাইতাম না ভাই, খাইতাম পানি! আজকের লেবুর শরবতের যে স্বাদ, মনে হচ্ছে পুরো করোনাবর্ষ পাগল থাকুম।’
তবে ফুচকার এই বদলে যাওয়া স্বাদ নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন কেউ কেউ। এমনই একজন লাইভে এসে বলেন, ‘এইসব কিসের আলামত ভাই বুঝতেছিনা। ফুচকা খাইলে আজকাল বালু বালু ফিল হয় না। কালারও কেমন বদলাইয়া গেছে। ফুচকা খাইতাছি না আলু খাইতাছি বুঝি না!’
ফুচকাসহ যাবতীয় স্ট্রিটফুডের আগের স্বাদই ভালো ছিল, এমন দাবি করেন গত শীতে ‘গোসল করবো না’ আন্দোলনে শামিল হওয়া বেশ কিছু পরিচ্ছন্নতাবাদী ব্যক্তিও।
এমন স্বাদের রহস্য কী জানার জন্য আমরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর বিখ্যাত ফুচকার দোকানদার ফিরোজ মামার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে মামা হাসতে হাসতে বলেন, ‘ঘটনা কী বুঝতাছিনা মামা। আগের মতোইতো বানাই! তয় আফসোস নাই, স্বাদ বাইড়া যাওয়ায় বেচা-বিক্রি বাড়ছে। কিন্তু সমস্যা হইলো করোনা ভাইরাসের লাইগা প্রতি প্লেট ফুচকা বানানোর আগে হাত ধোয়া লাগে। স্যানিটাইজ করা লাগে! এইদিকে প্রচুর সময় চইলা যায়!’