গতকাল শনিবার (২১ মার্চ) ঢাকা-১০ আসনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের একটি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জীবাণুমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়। হাত ধুয়ে ভোট দেয়ার জন্যও থাকে দিক-নির্দেশনা।
সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টা ধরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে করোনা ভাইরাস। অপরদিকে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী মিলে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট নিজেরা ভাগাভাগি করে নেন।
যদিও ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন আওয়ামীলীগ প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা করেন। উক্ত আসনে ৩ লাখ ২১ হাজার ভোটের মধ্যে শফিউল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৫ ভোট। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পান ৮১৭ ভোট। জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ শাহজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৯৭ ভোট পান।
অন্যদিকে সম্পূর্ণ আনঅফিশিয়ালভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে পাওয়া এক জরিপে দেখা যায়, আওয়ামীলীগ প্রার্থী শফিউল আলম নয়, বরং ৯৫ শতাংশ সমর্থন নিজের পক্ষে নিয়ে এই নির্বাচনে জিতেছেন কদমফুল মার্কার প্রার্থী নভেল করোনা ওরফে করোনাভাইরাস।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স থেকে এক বিবৃতিতে কৃত্রিমভাবে বলা হয়, ‘যেহেতু ১০০ শতাংশ ভোটের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রে এসেছে সেহেতু আমরা ধরে নিয়েছি ৯৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসকে সম্মান করে কেন্দ্রে আসেনি। সুতরাং এই ৯৫ শতাংশ ভোট কদমফুল মার্কা মানে করোনা ভাইরাসের বাক্সে যাবে। মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের মতামত নিয়ে কেউ ৩ লাখ মানুষের একটা অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হতে পারে না সেহেতু আনঅফিসিয়ালি করোনা ভাইরাসকে ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ঘোষণা করছি আমরা।’