৩৭ লাখ টাকা দামের পর্দা কেটে মাস্ক বানানোর অনুরোধ করেছেন মিটফোর্ডের কর্মকর্তারা

৯০৬ পঠিত ... ২১:৫০, মার্চ ২১, ২০২০

রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ হাসপাতাল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। চলমান করোনা ভাইরাস সংকটে প্রতিদিনই এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ এই হাসপাতালের কর্মরতদের জন্যই নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক। আজ শনিবার (২১মার্চ) হাসপাতালের পরিচালক জেনারেল মোর্শেদ রশীদের সই করা একটা নোটিশে মাস্ক স্বল্পতার কথা জানিয়ে কর্মিদের নিজ উদ্যোগে মাস্ক কেনার কথা বলা হয়েছে। 


শুধু মিটফোর্ড না! দেশের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই ডাক্তার-নার্সদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সেফটি কিট না থাকার কথা শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতে পূর্বের রিজার্ভ করা সম্পদ দিয়ে সংকট মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। ‘স্বাস্থ্যখাতের বোল্ট’ খ্যাত ফরিদপুর মেডিকেলের ৩৭ লাখ টাকা দামের পর্দার কথা মনে করিয়ে দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশের সংকটের কথা বিবেচনা করেই বিশেষ ফিচার সমৃদ্ধ দামি পর্দাগুলো কেনা হয়েছে। এই অভাবের দিনে এই পর্দাগুলো বিক্রি করেই সংকট মোকাবেলা করতে হবে।’

‘বর্তমান বাজার মূল্যে এই পর্দার গজ ৩৭ টাকা দরেও কেউ কিনবে না’ এমন তথ্য মনে করিয়ে দিলে এই কর্মকর্তা বলেন, পর্দা কেউ না কিনলেও সমস্যা নেই। পর্দা কেটেই মাস্ক বানানোর কাজ করা যায়। প্রতিটা পর্দা দিয়েই হাজার হাজার মাস্ক বানানো যাবে। ৩৭ লাখ টাকা দামের পর্দায়ও মাস্ক সংকট না কাটলে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের বালিশের কভারগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।’

বাজারের সাধারণ মাস্কের চেয়ে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের বালিশের কভার ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পর্দা দিয়ে বানানো মাস্ক অনেক বেশি সুরক্ষা দিবে বলেও জানান অন্য একজন। 

তবে এ বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই পর্দা দিয়ে মাস্ক বানালে প্রতি মাস্কের দাম ৩৭ লাখ করে দিতে হবে! দেশের সংকটের সময় ব্যবসা না করলে কখন করুম মিয়া, এইটাই তো আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য! বিদেশি ভাইরাসের কারণে দেশি ঐতিহ্য ভুলে গেলে হবে?’’

৯০৬ পঠিত ... ২১:৫০, মার্চ ২১, ২০২০

Top