থানকুনি পাতা চাষে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে আসতে পারে চীনা গবেষক দল

৬৭০ পঠিত ... ১৯:১২, মার্চ ১৮, ২০২০

বরিশালে গতকাল (১৭ মার্চ) রাতে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে রাতভর থানকুনি পাতা খাওয়ার  খবর পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত কোন এক পীর স্বপ্নে দেখেন যে, ফজরের আজানের আগে তিনটা থানকুনি পাতা খেয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। মুহূর্তের মধ্যেই বরিশাল অঞ্চলে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে থানকুনি পাতা খাওয়ার পাশাপাশি পরের দিন থেকে স্থানীয় বাজারে থানকুনি পাতার দামও বেড়ে যায়। 

রাতারাতি করোনা ভাইরাসের এমন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়ে যাওয়ায় তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে earki করেন? গ্রুপের রুবেল খান চীনের একদম গবেষক দলকে বাংলাদেশে আসার অনুরোধ জানান। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা একদম চীনা গবেষক থানকুনি পাতা চাষে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে আসতে চাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা চীনা গবেষকদের একজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি আমরা। চীনা ভাষায় লেখা তার মেসেজের কোন অর্থ উদ্ধার করতে না পেরে মুফতি ইব্রাহীমের শরণাপন্ন হলে তিনি সেই মেসেজের অর্থ উদ্ধার করে দেন। মুফতি ইব্রাহীমের ভাষ্যমতে চীনা গবেষক বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিলো, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কোন দেশ বানাতে পারলে, সেটি হবে মুফতি ইব্রাহীমের দেশ। আমরা মুফতি ইব্রাহীমের আগের ফর্মুলা নিয়ে কাজ করা শুরু করলেও কোন কুল-কিনারা করতে পারছিলাম না। বেশ চিন্তায়ও ছিলাম! কিন্তু কারবার দেখছেন, আমাদের ও স্যারের আগেই স্যারের অজ্ঞাত শিষ্য প্রতিষেধক বের করে ফেলছেন।’

এ পর্যায়ে অন্য এক চীনা গবেষক দুটো চোখ মারার ইমোজি দিয়ে লেখেন, ‘একেই বলে গুরুমারা বিদ্যা।’

এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো বিদেশি কোন গবেষক দল আসার খবরে জনসাধারণের মাঝে বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। জমি থেকে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করতে করতে এমন উচ্ছ্বসিত হয়ে একজন বলেন, ‘ভালো ব্যবসা করা যাবে। দেশি মানুষের থেকে ব্যবসা করে পোষায় না, ওরা গরিব। এবার থানকুনি পাতা স্টক করে বিদেশিদের সাথে ব্যবসা করবো।’

নিজেদের থানকুনি পাতার জমি না থাকায় অনেকে কুমড়ো পাতাকে থানকুনি পাতা বলে চালিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কুমড়ো পাতা স্টক করা শুরু করেছে। ফলে বাজারে থানকুনি পাতার পাশাপাশি কুমড়ো শাকেরও সংকট দেখা দিয়েছে। 

চীনা গবেষকদলকে সাহায্য করতে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গবেষণার কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন সরকারি কর্মকর্তা দলকে নিয়োগ দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘লাগবে না! গবেষণার কাজে তো আমরা যাই রেগুলার, আমরা জানি, এইগুলা আসলে হুদাই।’  

৬৭০ পঠিত ... ১৯:১২, মার্চ ১৮, ২০২০

Top