সমরেশ-সুনীলের উপন্যাসের মতো তিন খন্ডে মুক্তি পেতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের প্রথম খন্ড ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ২৪ জানুয়ারি বিকেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে টাইগাররা। এই সফরে বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিকেটভক্তদের ব্রো খ্যাত ইমরুল কায়েসকে ছাড়াই খেলছে বাংলাদেশ, তা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তবে ইমরুল কায়েস যে নেই, এমনটা কিন্তু নয়। তিনি দলে না থেকেও আছেন। আছেন ক্রিকেটভক্ত এবং সতীর্থদের হৃদয়ে। সেই থাকারই এক অনবদ্য নমুনা দেখলো সারা বিশ্ব। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠে নিজেদের প্রিয় ব্রোকে স্মরণ করে প্রথম সিটটি ফাঁকা রাখে বাংলাদেশ দল।
ফেসবুকার শরিফ সিয়াম এর একটি পোস্ট এবং পরবর্তীতে সেই পোস্টটি 'আমরা ইম্রুল কায়েসের পাগলা ফ্যান' ও 'eআরকি করেন' গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে এমনটাই জানা যায়। উপরের ছবিটি পোস্ট করে শরিফ সিয়াম লেখেন, 'ইমরুল কায়েস এর সম্মানে প্রথম সারির সিটটি ফাঁকা রাখলো টাইগার বাহিনী। কিন্তু তারা জানেই না পাইলট তো ইম্রুল ব্রো।' এছাড়াও ছবিটিতে ভালোমতো লক্ষ্য করলে বুঝবেন, কায়েসের জন্য ফাঁকা রাখা সিটটির পেছনের সিটে বসে আছেন তামিম। তার মুখভঙ্গী থেকে মনে হচ্ছে, কল্পনায় তিনি কাউকে দেখছেন, হয়তো কথাও বলছেন। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বাহ্যিকভাবে না থেকেও অন্তরে থাকা কায়েস ব্রোর সঙ্গেই কুশলাদি বিনিময় করছেন তিনি।
এছাড়া তামিমের পাশে বসা একজন ভুড়িওয়ালা ভদ্রলোককেও কায়েস ব্রোকে মিস করার এক পর্যায়ে হু হু করে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে।
পোস্টটি দেখামাত্র আগ্রহী হয়ে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যদের সবকটি ফেক আইডির সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানা যায়, ঘটনা সত্য। আবেগপ্রবণ হয়ে সৌম্য সরকার বলেন, 'কায়েস ব্রোকে অপর প্রান্তে না নিয়ে আমি কী করে ওপেন করি, বলুন? তিনি যেহেতু আসেননি, তাই ওই সিটটা আমরা ফাঁকা রেখেছি। আমাদের প্রস্তাব ছিল, ব্যাটিং অর্ডারেও এক নম্বর পজিশন ব্রোর জন্য ফাঁকা রাখার। তবে কোচ রাজি না হওয়ায়...'
অনেকটা এমন তথ্যই জানালেন তামিম ইকবালের ফেক আইডিও। চার আঙুল তুলে তিনি জানান, 'চারজনেরও বেশি ওপেনার দলে। কিন্তু যাকে বলা হয় ওপেনারদের ওপেনারদেরও ওপেনার, সেই ব্রো দলে নেই। খেলার মুড কী করে পাই বলেন? তাই অংকের নিয়মে কল্পনায় ধরে নিচ্ছি, কায়েস আছে। জানেন তো, গণিতবিদ্যায় ইমরুল কায়েসের অবদান। সেই অবদানের কথা ভেবে অংকের সিস্টেমেই ধরে নিলাম।'
পাইলটের সিটে কি আসলেই ইমরুল কায়েস ছিলেন? জানতে আমরা যোগাযোগ করি টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে। একজন কর্মকর্তা জানালেন, 'ম্যাচে চালকের আসনে সবসময় ব্রোই থাকেন। তাই প্লেনেও তিনি চালকের আসনে ছিলেন, এমনটা মনে হতেই পারে। আমাদেরও প্রস্তাব ছিল, বাংলাদেশের ব্যাটিংকে যিনি উড়িয়ে নিয়ে যান, দলকেও তিনিই যেন ওড়ান। তবে ক্রিজে সাধারণত পাঁচ-দশ মিনিটের বেশি তিনি যেহেতু টিকতে পারেন না, সেই ফর্ম পাইলট হিসেবেও চলে আসতে পারে এমন আশঙ্কায় আমরা সেই পরিকল্পনায় আগাইনি।'
তবে অনির্ভরযোগ্য কোটি কোটি সূত্র থেকে জানা গেছে, মাঠে পানি আনা-নেয়ায় অভিজ্ঞ কায়েস পাইলট নয় বরং বিমানে এয়ার হোস্টেস, থুক্কু, এয়ারব্রোর দায়িত্ব পালন করেছেন।