তিন মাসের মধ্যে আলাদিনের চেরাগ হাতে পাবেন মেয়রপ্রার্থী আতিকুল

১১৬২ পঠিত ... ১৮:২৩, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম শুরু থেকেই বেশ দারুণভাবে নিজের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চা বানানো এবং ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি এই মেয়রপ্রার্থী এরই মধ্যে ঢাকাবাসীকে চোখ ধাঁধানো সব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। এসব প্রতিশ্রুতিতে একটা কমন বিষয় খেয়াল করা গেছে, তা হলো সময়কাল- তিন মাস! তিনমাসের মধ্যে ঢাকাকে যানজট মুক্ত করা, নগরবাসীর যেকোন সমস্যার ২৪ ঘন্টায় সমাধান করতে অ্যাপ বানানো, ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করাসহ আরো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাওয়ার মতো করে বারবার এমন সব প্রতিশ্রুতি শুনে আসা ঢাকাবাসী বরাবরের মতোই এই মেয়রপ্রার্থীর সব কথাকে ‘স্লিপ অফ টাঙ’ হেসে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এর আগে আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন তিন গুণ তিন সমান নয় মাস! নয় মাসে যেসব কাজ হয়নি, এবার নির্বাচিত হলে তিন মাসে তা কীভাবে হবে? মেয়রপ্রার্থী কি তাহলে কোন সুপারহিরো, নাকি তিনি অনন্ত জলিলের ভাই-ব্রাদার?

কিন্তু নগরবাসীর সকল আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে মেয়রপ্রার্থীর ‘অনন্ত জলিল টিম’ জানান, চিন্তার কিছু নেই! ভাই যা বলছেন তাই হবে। ৩ মাসের মধ্যে ঢাকাকে যানজট মুক্ত করাসহ ভাইয়ের সব ধরনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আলাদিনের চেরাগ অর্ডার করেছি। আশা করছি আলিবাবা থেকে এই সব চেরাগ ৩ মাসের মধ্যেই আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। এরপর পুরোদমে কাজ শুরু করবে তারা।

তারা আরো জানান, ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ নামক অ্যাপের পাশাপাশি ‘সবাই ঘষে সবার চেরাগ’ নামক একটা প্রজেক্টও হাতে নিয়েছেন এই মেয়র প্রার্থী। তিনি নির্বাচনে জিতলে পুরো ঢাকাকে ‘একজন মানুষ, একটি আলাদিনের চেরাগ’ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবেন। এরপর যার যার সব সমস্যা সে সে নিজেদের আলাদিনের চেরাগের মাধ্যমেই সমাধান করবে। একদম পুরাই জ্বলে উঠুন নিজের চেরাগের আগুনে টাইপ অবস্থা!

৩ মাসের মধ্যে কীভাবে ঢাকার যানজট সারাবেন? এই বিষয়ে জানার জন্য আলাদিনের চেরাগের বিখ্যাত দৈত্যের সাথে যোগাযোগ করি আমরা। প্রথমেই আমরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে এসেছি শুনে দৈত্য আমাদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। দৈত্যের অ্যাসিস্ট্যান্ট জানান, 'স্যার বাংলাদেশের কারো সাথে দেখা দিবেন না। উনি বেশ ভয়ে আছেন। আপনাগো দেশের মানুষ নাকি অনেক ডেঞ্জারাস ডেঞ্জারাস টাস্ক নিয়া আসেন। বাংলাদেশের কথা শুনলেই স্যার মুর্ছা যাচ্ছেন।'

কোন উপায়ন্তর না দেখে নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে দৈত্যের কাছে যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে দৈত্য আমাদের বলেন, 'আলাদিন একবার বললো, এক ঘন্টার মধ্যে মিরপুর থেকে মতিঝিল যাইতে চাই। এরপর আমি আলাদিনের সাথেই চুক্তি বাতিল করেছি। বাবাগো, দৈত্য হলেও আমাগো একটা সীমা আছে। সেইখানে ৩ মাসের মধ্যে ঢাকার যানজট সারানোর ক্ষমতা আমার তো নাইই নাই, আমার ওস্তাদেরও নাই। প্রয়োজনে না খাইয়া থাকুম, নিজের ভাঙ্গা ঘরে মানে চেরাগে থাকুম, তাও আতিকুল সাহেবের সাথে এমন চুক্তিতে যামু না!'

১১৬২ পঠিত ... ১৮:২৩, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

Top