ড্রিমলাইনার 'সোনার তরী' আনতে আরও ২৪৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব

১৩২৬ পঠিত ... ২১:২১, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

বোয়িং কম্পানি থেকে কেনা ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার সোনার তরী আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে যাচ্ছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৪৫ জনের ক্ষুদ্র এক বহর। তারা অন্য বিমানে করে সেখানে যাবেন, ৫ দিন থাকবেন এরপর দলেবলে ড্রিমলাইনার সোনার তরীকে নিয়ে দেশে ফিরবেন।

৩০০ আসনের এত বিশাল একটি বিমান আনতে মাত্র ৪৫ জনের ক্ষুদ্র একটি বহর যাওয়াতে জনসাধারণের মনে নানান রকম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, মাত্র ৪৫ জন মিলে এত বড় সোনার তরীকে আনতে যাওয়াটা রিস্ক হয়ে যাবে। সঠিক জনবলের অভাবে বিমানটি হয়তো দেশে আসার আগে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। সেজন্য বিমানটিকে সঠিকভাবে, নিরাপদে, কানায় কানায় পূর্ণ করেই দেশে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রনালয়ের অন্তত আরো ২৪৫ জন কর্মকর্তাকে এই ‘সোনারতরী সংবর্ধনা কমিটি (সোসক)’-এ যুক্ত করার ব্যাপারে মত দিয়েছেন সোসকের আরো কিছু কর্মকর্তা।

সোনার তরী এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পর তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানোর দায়িত্বে থাকা সোসকের উপকমিটি 'সোসক-পুষ্প' এর সভাপতি আমাদের জানান, 'এত বড় বিমান ৪৫ জনে মিলে আনাটা খুবই অমানবিক। একটা গাড়ি ঠেলতেও তো ১০ জন মানুষ লাগে। বিমান যদি হঠাৎ কইরা না ওড়ে, তাহলে কি ৪৫ জনের ধাক্কায় কাজ হবে? বহরে আরো লোক যোগ করা উচিত। আমাদের সোসক থেকে সবাইকে নিয়ে নেয়া উচিত।'

এই পর্যায়ে উপকমিটি 'সোসক-পুষ্প' এর সভাপতিকে থামিয়ে দিয়ে সেক্রেটারি সাহেব বলেন, 'স্যার ঠিকই বলছে। ফুল মারার লোক আমরা ম্যানেজ কইরা দিমুনে। আমার চাচার শখ এয়ারপোর্টে আইসা বিমানে একটু ঘুমাবে। দরকার হইলে ফুল মারার জন্য তারে লইয়া আমু। এককামে চার কাম! আমারও সিয়াটলে যাওয়ার শখ পূরণ হবে, চাচারও, সোনার তরী নিয়াও আর রিস্ক থাকবে না।'

বহরে লোক বাড়ানোর ব্যাপারে সমর্থন দেন লালগালিচা সংবর্ধনার দায়িত্বে থাকা সোসক-এর অন্য এক উপকমিটি সোসক-রেড এর সভাপতিও। তিনি জানান, 'সোনারতরীতে সিট হইলো ৩০০ টা! লোক যাবে মাত্র ৪৫ জন! বাকি ২৫৫ টা সিট খালি আসবে! সরকারি টাকার এ তো বিশাল অপচয়! এই ধরনের বাজে অপচয়ের জন্যই তো বিমান লাভের মুখ দেখে না। তেল তো ঠিকই খরচ হইবো! তাইলে সোসক-রেড কমিটির আরো ১০০ জনকে নিয়া যাইতে সমস্যা কোথায়!'

সোনার তরী আনতে কমপক্ষে আরও দুইশ জন লোকের যাওয়া উচিত, এমন যুক্তি দিলেন সাম্প্রতিক সময়ের বিখ্যাত বাংলাদেশি সায়েন্টিস্ট ইব্রাহীমস্টাইনও। তিনি বলেন, 'হার্ভার্ড মেডিকেল রিসার্চের সায়েন্টিস্টরা জানিয়েছে, আকাশে ব্ল্যাকহোল থাকে। বিমানে লোক কম থাকলে বিমান হালকা হয়ে যাবে। ফলে ব্ল্যাকহোল যেকোন সময় আমাদের বিমানকে ছিনতাই করে ফেলতে পারে। সেজন্য বিমানকে লোক দ্বারা পরিপূর্ণ করে ভারী করে রাখা উচিত। বিমান ভারী হলে পৃথিবী বিমানকে নিজের দিকে বেশি করে টানবে।'

অন্যদিকে এই রিপোর্ট লেখার সময়েই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি ফেক আইডি থেকে নক দিয়ে জানান, 'অবশ্যই আরও ২৪৫ জনের গমন করা উচিত। ড্রিমলাইনার সোনার তরীকে নিয়ে লেখা আমার কবিতার সত্যতা প্রমাণের জন্য হইলেও সোনার তরীকে কানায় কানায় পূর্ণ করিতে হইবে।'

১৩২৬ পঠিত ... ২১:২১, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

Top