বিখ্যাত কার কোম্পানি টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক সম্প্রতি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছেন সাইবারট্রাক নামের পিকআপ ট্রাক। স্টাইলিশ এবং প্রচুর উন্নত প্রযুক্তি ঠুসে দেয়া এই গাড়ি নিয়ে সারাবিশ্বে চলছে তোলপাড়। মূলত ফোর্ড পিকআপের সাথে প্রতিযোগিতা করতেই ইলন মাস্ক তার সাইবারট্রাক প্রজেক্টটির ঘোষণা দিয়েছে। ইলেক্ট্রনিক এক পিকআপটি হবে সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ। ঘোষণার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেড় লাখ অগ্রিম অর্ডার করেছে ক্রেতারা। ২০২১ সাল নাগাদ বাজারে আসবে এই সাইবারট্রাক।
কিন্তু সাইবারট্রাকের খবর ঠিকঠাক ছড়ানোর আগেই যেন বাংলাদেশিদের জন্য এলো নতুন সুখবর! বাংলাদেশ ও বিশেষ করে ঢাকা শহরের যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ইলন মাস্ক আনতে যাচ্ছেন 'সাইবারসিএনজি'। সাইবারট্রাকের মতো এই যানবাহনেও সন্নিবেশ ঘটবে স্টাইল ও নানান রকম আধুনিক প্রযুক্তি। বাংলাদেশ ও ঢাকার মানুষের জীবনযাপনের নানান প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই ডিজাইন করা হয়েছে সিএনজিটি।
সম্প্রতি ডিজাইনার জহির উদ্দিন জুমন ফেসবুকে সাইবারসিএনজির একটি প্রোটোটাইপ ডিজাইন পোস্ট করেন। সেখান থেকেই জানা গেলো টেসলার এই নতুন প্রকল্পের কথা। জুমন জানালেন, খ্যাপের কাজ হিসেবেই ইলন মাস্কের জন্য ডিজাইনটি করেছেন তিনি। ডিজাইনকৃত সাইবারসিএনজির ব্যাপারে ইলন মাস্কের কাছ থেকে লাল সংকেত পাওয়ার কথাও জানালেন। সবুজ সংকেত না পেয়ে লাল সংকেত কেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জহির উদ্দিন জুমন বলেন, 'ইলন মাস্ক আমার ডিজাইনে লাভ রিয়্যাক্ট দিয়েছেন।'
এ ব্যাপারে ইলন মাস্ককে মেসেজ দিলে তিনি মেসেজ সিন করে রেখে দেন। পরে মেহজাবিনের ছবি দেয়া একটা মেয়ে ফেক আইডির মাধ্যমে ইলন মাস্কের টুইটারে মেসেজ দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জাস্ট নাউতে মেসেজ সিন করে রিপ্লাইতে বলেন, 'ঘটনা সত্য। ঢাকার জন্য শুধু সাইবারসিএনজি আনছে টেসলা কোম্পানি। শীঘ্রই এটা বাজারে ছাড়া হবে।'
এই সাইবারসিএনজিতে কি কি সুযোগ সুবিধা বা প্রযুক্তি থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা হবে সম্পূর্ণ ধুলো ও গালি মুক্ত। ঢাকার ধুলা আর মিটারে যাওয়ার দাবি করা পেসেঞ্জারদের গালি কোনোটাই এর শক্ত কাচ ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও এটা আলোর গতিতে যেকোনো সময় লেন পরিবর্তন করে এক লেন থেকে আরেক লেনে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে৷ আরো থাকছে বাস বা ট্রাক কাছে চলে আসলে এই সাইবারসিএনজির পেছন থেকে লোহার ঢাল বের হওয়ার সিস্টেম। যেটা সিএনজিকে বাঁচাবে বাস-ট্রাকের ধাক্কা থেকে।'
তবে অন্যান্য সিএনজির মত এটাতেও মিটার থাকলে সেই মিটার কাজ করবে না বলেও নিশ্চিত করেন বিখ্যাত এই রকেটবিজ্ঞানী। তবে টেসলার অন্য একজন রকেট সাইন্সিস্ট জানিয়েছেন, এই সিএনজিতে রকেটের মিটার বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে মিটারে গেলেও ভাড়া কমপক্ষে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হতে পারে।
তবে এই ঘোষণার পর ঢাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাব্বির আহমেদ নামে এক মিরপুরবাসী জানান, 'ভেতরে ধুলা না ঢুকলে কিসের সিএনজি। রাস্তায় নেমে ধুলার স্বাদই যদি না পাইলাম তো মিরপুর থেকে লাভ কি? উত্তরার মত গ্রামাঞ্চলে চলে যাওয়াই ভালো।'
আরেক ব্যক্তি যিনি নাম প্রকাশে অত্যন্ত ইচ্ছুক জনৈক 'ক' বলেন, 'ইলনরে এতোবার বললাম মাস্কের ব্যবসা ছেড়ে বিসিএস দে৷ আমার কথা তো শুনলো না। এবার সিএনজি চালাক। ওরে কেউ মেয়ে দিবে না।'
ঐ ব্যক্তির মেয়ে অবশ্য দুঃখভারাক্রান্ত গলায় eআরকিকে টাকলা ভাষায় মেসেজ দিয়ে বলেছে, 'Elon tome onak cng hoe gacho'!