পিএসজি ছেড়ে কলাবাগান, মোহামেডান বা ভিক্টোরিয়া ক্লাবে খেলতে আসছেন নেইমার

১১৩৯ পঠিত ... ২২:১৬, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯

সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদকসহ জব্দ করা হয়েছে জুয়া খেলার নানা সরঞ্জাম। গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ফকিরাপুল ইয়ং মেন্স ক্লাবে অভিযানের মধ্য দিয়ে এই সিরিজ অভিযানের শুরু হয়। ফকিরাপুল ক্লাবে একেবারে ক্যাসিনো স্লট, ক্যাসিনো রোলার, চিপস সমৃদ্ধ ক্যাসিনোই ‘আবিষ্কৃত’ হয়। এরপর একে একে কলাবাগান, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, আরামবাগসহ বেশ কিছু ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। খবর: প্রথম আলো।

ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য অনেক খেলার পাশাপাশি এই ক্লাবগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাসিনো এবং জুয়াখেলাও চলত বলে জানা গেছে। আর বাংলাদেশি এসব ক্লাবের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সকল দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। এক গোপন তারবার্তায় নিজ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন হাল ফুটবলের এই সেনসেশন। 

সম্প্রতি শেষ হওয়া ইউরোপিয়ান ট্রান্সফার সিজনে এই পিএসজি ফরোয়ার্ডের পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে বেশ কানাঘুষা চলে। আবার তিনি তার পুরনো ক্লাব বার্সেলোনায় ফিরবেন এমন গুজব বেশ শক্তপোক্তভাবেই ছিল বাজারে। এছাড়াও ইউরোপের আরও কিছু শীর্ষ ক্লাবের সাথে জড়িয়ে শোনা যাচ্ছিল নেইমারের নাম। অথচ সকলের আগ্রহে পানি ঢেলে নেইমার চলতি মৌসুমেও রয়ে গেছেন পিএসজিতেই।

বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো আবিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। তারবার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘খবরটা দেখে খুশিতে দুবার মাটিতে গড়াগড়ি খেয়েছি। এমন ক্লাবই তো খুঁজছিলাম!’

খেলায় বৈচিত্র্য প্রয়োজন, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার ফুটবল ক্লাবগুলোতে শুধু ফুটবলই খেলতে হয়। এক খেলা কি সবসময় খেলতে ভালো লাগে বলেন? বোরডম কাটাতে মাঝেমধ্যে ড্রেসিং রুমে বসে লুডু খেলি। তাও, পেশাদার খেলোয়াড় তো, টাকা পয়সার কাহিনী ছাড়া খেলতে ভালো লাগে না!’

তবে এই ফাঁকে তিনি বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলোতে খেলার মূল মোটিভেশনের কথাটি জানিয়ে দিতেও ভুললেন না, ‘বাড়তি আয়ের জন্য খেলার ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে বিজ্ঞাপন করতে হয়। বিভিন্ন প্রোগ্রামে যেতে হয়। বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবে খেললে বাড়তি আয়ের জন্য ক্লাবের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই। দিনে মাঠে খেলবো, রাতে টেবিলে। আসলে অন্য কিছু করে আমি চলতে চাই না, শুধু খেলেই আয় করতে চাই।’

কলাবাগান, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া নাকি আরামবাগ? কোন ক্লাবে খেলতে চান? নেইমার জানালেন, ‘যে ক্লাবে ভালো খেলা হয়, বড় মাপের খেলোয়াড়রা খেলে, সেখানেই খেলবো। কথাবার্তা চলছে। ওরা বলছে ট্রান্সফার ফি কত হবে তা নাকি পোকার খেলার টেবিলেই ঠিক হবে। দ্যাটস এ রিয়াল, থুক্কু, বার্সা স্পোর্টসম্যানশিপ!’

ফুটবলটা যে দারুণ খেলেন নেইমার, তাতে সন্দেহ নেই। গত বিশ্বকাপে অভিনয় দিয়েও দর্শকদের মন জিতেছেন। জুয়া খেলায় তিনি কেমন? জানালেন নেইমার, ‘এইযে মাঠে আমি যে অভিনয়টা করি, সেটাই তো একরকম জুয়া। প্রতিপক্ষ টিমও হলুদ কার্ড পেতে পারে, আবার ধরা খেলে আমিও পেতে পারি। আমাকেও ফ্রি কিক দিতে পারে, আবার ধরা খেলে বিপক্ষ দলও ফ্রি কিক পেতে পারে।’ এ পর্যায়ে তিনি গুনগুন করে ‘বাজিগর ম্যায় বাজিগর’ গানটি গাইতে থাকেন।

গুনগুন করা শেষে তিনি বাংলাদেশের ক্লাব মালিকদের প্রতি তিনি শামীম ওসমানের মতো হুংকার ছেড়ে জানিয়ে দেন নিজের আগমনী বার্তা, ‘কাকে খেলা শেখাবেন? আমরা তো ছোটবেলার খেলোয়াড়!’

১১৩৯ পঠিত ... ২২:১৬, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯

Top