যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের বাসাকে নতুন 'টাকা জাদুঘর' ঘোষণা করা হোক

৭০৪ পঠিত ... ২২:৩৬, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯

রাজধানীর নিকেতনে যুবলীগের নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ পেয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া কোটি টাকা পাওয়া গেছে। অন্যান্য কাগজপত্র থেকে এখন পর্যন্ত গুনে ১২৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। জি কে শামীম র‌্যাবকে জানিয়েছেন, এখানে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর আছে। টাকা গুনে কূল পাচ্ছেন না র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তারা। এছাড়াও পাওয়া গেছে মদের বেশ কয়েকটি বোতল ও অস্ত্র।

 

এদিকে এই অভিযানের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর কারো বাসায় এত পরিমাণ টাকা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার আপামর জনসাধারণ। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, শামীম সাহেবের বাসাটিকে 'টাকা জাদুঘর' হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।

এ ব্যাপারে জানালেন একজন জাদুঘর গবেষক, 'এত টাকা আমি জীবনে কখনো একসাথে দেখিনি। আমার মতো নিশ্চয়ই অনেকে আছেন যারা জীবনে একবার হলেও এত টাকা নিজের চোখে দেখতে চান, স্পর্শ করতে চান। তাই শামীম ভাইয়ের বাসাটিকে টাকা জাদুঘর বানিয়ে ফেলা হলে নিশ্চয়ই তা সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে।'

নতুন এই টাকা জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য থাকতে পারে নানা আয়োজন। শোনা যাচ্ছে, এত এত টাকা দিয়ে সেখানে তৈরি হতে পারে টাকার একটি বিছানা, যেখানে শুয়ে দর্শনার্থীরা টাকার বিছানায় শোয়ার ফিল নিতে পারবেন। এছাড়া একটা রুমে থাকতে পারে ইচ্ছেমতো টাকা ওড়ানোর সুযোগ। টাকা দিয়ে কান চুলকানো, টাকা টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করে হাত মোছা এসব বড়লোকি ফিল নেয়ার সুযোগও পাওয়া যাবে। তবে নতুন টাকা জাদুঘরে এতসব সুযোগ ভোগ করতে টাকা দিয়ে টিকিট কিনেই ঢুকতে হতে পারে!

এছাড়াও নানান রকম বিদেশি মদ ও অস্ত্রের জন্যও থাকতে পারে আলাদা গ্যালারি।

জনহিতকর এই উদ্যোগ সম্পর্কে আরও জানালেন একজন টাকা বিশেষজ্ঞ, 'কথায় বলে, টাকায় টাকা আনে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা থেকে আরও টাকা আনতে শামীম সাহেবের বাসাকে টাকা জাদুঘর বানিয়ে ফেলা নিশ্চয়ই যুগান্তরকারী একটা উদ্যোগ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বড়লোক এবং গরিবের আর্থিক ব্যবধান না কমলেও বড়লোকি ফিলিংস পাওয়ার ব্যবধান অনেকাংশেই কমে আসবে।'

নতুন এই টাকা জাদুঘরে যাওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই এক্সাইটমেন্ট প্রকাশ করেছেন কিছু সাধারণ মানুষ। 'দিন আনি দিন খাই' গোত্রীয় একজন গরিব ব্যবসায়ী সালমান এম রহমান জানান, 'এত টাকা তো কখনো আয় করতে পারবো না। তাই একবার হলেও ২০০ কোটি টাকা ছুয়ে দেখতে চাই। জাদুঘরটির উদ্বোধনের জন্য মুখিয়ে আছি।'

তবে টাকা জাদুঘর না করে এই টাকা দিয়ে পদ্মা নদীর উপর আরেকটা ব্রিজ করে ফেলার দাবিও তুলেছেন অনেকে।

৭০৪ পঠিত ... ২২:৩৬, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯

Top