২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছিল #10yearschallenge. এই ট্রেন্ডে সবাই তাদের দশ বছর পুরোনো অর্থাৎ ২০০৯ সালের ছবির সঙ্গে বর্তমানের ছবি কোলাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তবে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জটি কোথায় দেয়া হয়েছিল, জানেন কি? থ্রি ইডিয়টস সিনেমাটি দেখা থাকলে তা আপনার অবশ্যই জানার কথা!
২০০৯ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত এবং এতদিনে 'কাল্ট' হয়ে ওঠা সাড়া জাগানো থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় দেখা যায়, র্যাঞ্চো, রাজু ও ফারহান ক্লাসের আঁতেল এবং মুখস্থবিদ্যায় পারদর্শী ভালো ছাত্র চতুরকে পুরো ভার্সিটির সামনে একেবারে 'বলাৎকার' (ভাই না দেইখা থাকলে বুঝবেন না!) করে দেয়। সিনেমায় দেখানো হয়, দিনটি ছিল সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ। ক্ষুব্ধ চতুর দেয়ালে ঐ দিনের তারিখ লিখে তিন বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় এবং জানায়, '১০ বছর পর ঠিক এই তারিখেই এখানে আমাদের দেখা হবে, দেখবো কে ততদিনে জীবনে কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হয়!'
সিনেমায় 'অতীত' হিসেবে দেখানো সেই চ্যালেঞ্জপর্বের ১০ বছর পর জিতে গিয়েছিল র্যাঞ্চো অর্থাৎ আমির খানই! টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জ যে বছর ফেসবুক মাতালো, মজার ব্যাপার হলো সে বছরের সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখ সেই টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জের দশ বছর পূর্তি হয়, আর আজ পূর্তি হলো এক যুগ।
এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়া জানতে আমাদের সিনেমা বিষয়ক প্রতিবেদক কল্পনা পরিবহনে চেপে ছুটে যায় থ্রি ইডিয়টসের জগতে। চতুরের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি ব্যস্ত এবং দেখা করতে পারবেন না বলে জানান। পরে বিজ্ঞানী ফুনসুখ ওয়াংড়ুর রিকমেন্ডেশন লেটার দেখালে (নকল) তিনি সঙ্গে সঙ্গে সব ব্যস্ততা ঝেটিয়ে বিদায় করে দেখা করতে চলে আসেন।
১০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে করে চতুর আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, 'চ্যালেঞ্জ হোতা সাবহিকে পাস। পার দেতা কোই নাহি, সাব ছুপাকে রাখতে হে। কিন্তু আমি ছিলাম এক বলাৎকারী পুরুষ, সেই যে আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, এরপরই তো চ্যালেঞ্জ দেয়ানেয়া একটা ট্রেন্ড হয়ে গেলো।'
রাজু, ফারহান আর র্যাঞ্চোর খোঁজখবর কিছু জানেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'র্যাঞ্চো? আই মিন স্যার ফুনসুখ ওয়াংড়ু? আই এম এ বিগ ফ্যান। আই রেগুলার ফলো অন টুইটার।'
১০ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'ওয়ার্ল্ড ফেমাস ফুনসুখ ওয়াংড়ু স্যারের সাথে কাজ করতে চাই। এখনো উনার সাথে দেখা করার শিডিউল পাচ্ছি না...'
এই পর্যায়ে চতুর 'ফুচুক' করে তার 'সাইলেন্সার' নামের সার্থকতা প্রদর্শন করলে আমাদের প্রতিবেদক দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।