মহাসমারোহে চলছে 'ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কাউ ফেস্ট ২০১৯'

২২০ পঠিত ... ২০:৪০, আগস্ট ০৭, ২০১৯

শীত চলে আসলে একের পর এক মেলা, ফেস্টিভাল, প্রদর্শনী লেগেই থাকে ঢাকার বুকে। বছরের বাকি সময়টা যেন অপেক্ষাকৃত সাদামাটাই থেকে যায়। তবে বিনোদনপ্রিয় রাজধানীবাসীর জন্য এই ঘোর বর্ষায় শুরু হয়ে গেল ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কাউ ফেস্ট-২০১৯’। সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবটি চলে শেষ হতে যাচ্ছে কোরবানির ঈদের দিন সকালে।

সপ্তাহব্যাপী চলা এই ফেস্ট নিয়ে নগরজুড়ে পড়ে গেছে হাম্বা হাম্বা রব। ঢাকার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা কোরবানির পশুর হাটগুলো এই ফেস্টের মূল ভেন্যু হলেও কাউ ফেস্ট-২০১৯ আয়োজিত হবে মূলত পুরো শহরেই। শহরের প্রধান সড়ক, অলিগলি, বাড়ির আঙিনা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে গ্যারেজ কোনকিছুই বাদ যাবে না এই উৎসব থেকে। বিশ্বের নানান প্রান্তের গরুরা (অধিকাংশই ভারতের) অংশ নেবেন এই হাম্বা-উৎসবে।

কাউ ফেস্টের আইডিয়া নিয়ে eআরকি কথা বলে এক আয়োজকের সাথে। কাউ ফেস্টের সবচেয়ে বড় ভেন্যু গাবতলি গরুর হাটের এই কর্মকর্তা eআরকিকে বলেন, ‘প্রতি বছরই কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়, তার কেন্দ্রে থাকে গরু। গরু হয়ে ওঠে আমাদের যাপনের অংশ। তাই আমরা এবার চেয়েছি, এর একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। সেই লক্ষ্যেই এই কাউ ফেস্ট। আমাদের হাটেই ফেস্টের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হবে। সবাইকে গাবতলির কাউ ফেস্টে আমন্ত্রণ।’

তবে অন্যান্য হাটের কর্মকর্তারাও পিছিয়ে নেই। নিজ নিজ সাধ্যমত সকলেই জাঁকজমকে সাজিয়ে দিতে চাইছে নিজেদের হাটকে। এই উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলতে যেন সাজ সাজ রব পড়ে গেছে পুরো শহরজুড়েই। 

কাউ ফেস্ট নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে সকল বয়সী ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং গরুদের মাঝে। এ ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বসিলা গরুর হাটের বিক্রি হওয়ার জন্য আসা এক গরু বলেন, ‘হাম্বাআআআআআ’!

তবে ক্লাসিকাল ফেস্ট বা ফোক ফেস্টের মতো এই ফেস্টেও রয়েছে কিছু বাধ্যবাধকতা। একেবারে ছোট্ট শিশুরা এই ফেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া লাল পোশাক পরে ফেস্টে অংশ নেয়ার ব্যাপারেও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।

২২০ পঠিত ... ২০:৪০, আগস্ট ০৭, ২০১৯

Top