সীমান্তে মশা অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় বিএসএফকে কারণ দর্শাতে বললেন মমতা ব্যানার্জি

৪৭৮ পঠিত ... ২২:১৭, আগস্ট ০৩, ২০১৯

বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও সম্প্রতি দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগের পশ্চিমবঙ্গে আগমন নিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আঙুল তুলেছেন বাংলাদেশি এডিস মশাদের দিকে। সীমান্ত দিয়ে মশা এবং মানুষদের আসা যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মশার মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গে মশা ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। খবর: প্রথম আলো।

এই মন্তব্যের পরপরই জানা গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রতি বাংলাদেশি মশা প্রতিরোধে কঠোর হুঁশিয়ারি ও নির্দেশনা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ মশা পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশে তিনি বিএসএফের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন বলে নিশ্চিত করে একটি অবিশ্বস্ত সূত্র। সূত্রটি আরও জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারিতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে। 

সীমান্ত্রে কী বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা eআরকিকে বলেন, ‘ডেঙ্গু বিষয়ে মমতাদির হস্তক্ষেপের পর আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা উনার কাছে ১০০ কামান চেয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন কামানের ব্যাপারে।’ এছাড়াও মশা নিধনে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাহায্যও কামনা করেছেন তারা। তিনি জানান, ‘সন্দেহভাজন যেকোনো মশাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনার জন্য আমরা বায়ুসেনাদের সহায়তাও চেয়েছি। সকল মশাকে এখন থেকেই নিজ নিজ পরিচয়পত্র সাথে রাখার প্রজ্ঞাপন আজকালের মধ্যেই জারি হবে।’

অন্যদিকে এই খবরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরশনে। দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তিরাই ভারতে অনুপ্রবেশকারী মশার ব্যাপারে কোনরকম দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বরং তারা আঙুল তুলেছেন সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পৌরসভার দিকে। তবে সীমান্তে মশা প্রতিরোধে নেওয়া এসব পদক্ষেপে আতংক বিরাজ করছে বিভিন্ন প্রজাতির মশাদের মাঝে। সীমান্তে অকারণ হেনস্তার আশংকা করছে অনেক মশা। এক অ্যানোফিলিস মশা eআরকিকে জানায়, ‘ডেঙ্গু হচ্ছে ওসব সন্ত্রাসী এডিস মশাদের জন্য। এখন হয়ত আমাদেরকেও অনেক ঝামেলার ভিতর দিয়ে যেতে হবে।’ 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সীমান্তে মশা প্রতিরোধে কাঁটাতারের বদলে সুউচ্চ মশারির দেয়াল গড়ে তোলার তোড়জোড় চলছে ভারতীয় সীমান্তে। আর অনেক বাংলাদেশিই তিস্তার পানির কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, তিস্তার পানি আসলেই অনেক বাংলাদেশি জলাশয়ে ফিরে আসবে স্রোত এবং গতিশীল পানিতে এডিস মশা হয় না। ফলে ওপারে মশা না চাইলে, এপারে পানি আসার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অনেকে।

৪৭৮ পঠিত ... ২২:১৭, আগস্ট ০৩, ২০১৯

Top