কিং তারেকের নির্দেশ কেন মানছেন না হ্যান্ড অফ দ্যা কিং মীর্জা ফখরুল?

৩৯৪ পঠিত ... ১৬:২১, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ আসনে জয় লাভ করা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই ফলাফল মেনে নেয়নি। অন্যান্য দলের এমপিরা যখন শপথ নিচ্ছিলেন, তখন বিএনপি সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তে ছিলো সোচ্চার। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল বিএনপির ৫ জয়ী প্রার্থীর মধ্যে মির্জা ফকরুল বাদে বাকী ৪ জন নিয়ে নিয়েছেন শপথ। প্রাথমিক এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ব্যাপারে মীর্জা ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই বিএনপি প্রার্থীরা শপথ নিয়েছেন।

হাউজ বিএনপির কিং তারেক আর হ্যান্ড অফ দ্যা কিং মির্জা ফখরুলের মাঝে থাকবে নীতিগত সামঞ্জস্য, সেটিই সবাই আশা করেন। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের দেখায় ভিন্ন চিত্র। কিং তারেক সকল বিজয়ীদেরকে সরকারের কাছে ‘বেন্ড দ্যা নি’ তথা শপথ নিতে বললে, বাকিরা সুবোধের মতো এ আদেশ মেনে নিলেও মির্জা ফখরুলকে দেখতে পায় নির্বিকার। তবে কিং আর হ্যান্ড অফ কিংয়ের মাঝে কি চলছে কোন বিরোধ?

এ ব্যাপারে জানতে eআরকি হোয়াইট ওয়াকারদের একটি বিচ্ছিন্ন দল রওনা দেয় বিএনপির কিংস ল্যান্ডিং লন্ডনের দিকে। কিন্তু যথারীতি রওনা দেয়ার পর তারা টের পায়, সেখানে যেতে পার হতে হবে সমুদ্র। ‘আজ হোয়াইট ওয়াকার বলে…’ জাতীয় কিছু স্ট্যাটাস দেয়ার পর তারা স্কাইপে ভিডিও কল দেয় আয়রন থ্রোনের চ্যাটরুমে। সেখানে কিং তারেক তাদের কলটি রিসিভ করে প্রথমে eআরকিক হোয়াইট ওয়াকারদের দেখে খানিকটা ভড়কে যান, এবং তার রাণী মাকে বার কয়েক ডেকেও হঠাৎ টের পান, তার মা হাই স্প্যারোদের মিথ্যা মামলায় গ্রেট সেপ্ট অফ কাশিমপুরে আটক রয়েছেন। অতঃপর তিনি নিজেকে কিছুটা সামলিয়ে নিয়ে eআরকির সাথে কথা বলতে রাজি হন।

কেন তার সিদ্ধান্ত অমান্য করে হ্যান্ড অফ কিং এখনো শপথ নিচ্ছে না, তা জানতে চাইলে কিং তারেক বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে ল্যানিস্টার আর টারগারিয়ানরা পাশাপাশি যুদ্ধ করতে পারে, আমিও তাই এই আমার দলের লোকদের শপথ নিতে বলেছিলাম। কিন্তু আমার নিজের হ্যান্ড আমার কথা শুনছে না। সে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এসব আচরণ কিংস ল্যান্ডিংয়ে কখনো বরদাশত করা হবে না। নিজেকে সে নেড স্টার্ক ভাবতে শুরু করছে। নেড স্টার্কের পরিণতি কী হয়েছিলো, সে যেন সিটাডেলের লাইব্রেরিতে গিয়ে একটু ইতিহাসের বই ঘেঁটে জেনে নেয়।

এ পর্যায়ে তিনি একজন কিংসগার্ডের দিকে তাকিয়ে উত্তেজিত হয়ে চেচিয়ে ওঠেন, ‘ব্রিং মি হিজ হেড!’

কিং তারেকের এমন নির্দেশে কিংসগার্ডরা তলোয়ারে হাত দিলে eআরকির হোয়াইট ওয়াকাররা দ্রুত ফোনটি কেটে দেন। ঠিক সাথে সাথেই আমাদের ফোনে কল করেন বিএনপির লর্ড ভ্যারিস খ্যাত গয়েশ্বর চন্দ্র। তিনি আমাদেরকে জানান, ‘আমাকে আমার ছোট ছোট পাখির দল এসে কানে কানে বলেছেন, হ্যান্ড ফখরুল সাহেব ড্রাগন ডিঙিয়ে ভেড়া খাওয়ার মতো একাই আন্দোলনের মধ্যমণি হতে চাইছেন।'

আপনাকে কি তিনি কোনো র‍্যাভেন (গেম অফ থ্রোনস দেখা বন্ধুর কাছ থেকে ব্যাপারটা বুঝে নিন) পাঠিয়েছেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এসব খবর হাওয়ায় ভেসে আমাদের ভবনে চলে আসে। আওয়ার খাম্বাস আর এভ্রিহোয়ার!’

৩৯৪ পঠিত ... ১৬:২১, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

Top