বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে এক নতুন প্রযুক্তির আগমন ঘটেছে—না, এটি কোনো চীনা ড্রোন নয়, কিংবা বিদেশি গোয়েন্দা প্রযুক্তিও নয়। এটি হলো: বিএনপির ফুঁ সার্ভিস। এখন থেকে বিমান টিকিট কাটার ঝামেলা নেই, বোর্ডিং পাসের লাইনে দাঁড়ানোও লাগবে না। শুধু এক ফুঁ, আপনি আকাশে!
এই যুগান্তকারী সার্ভিসের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা শাহিন শওকত, যিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, বিএনপির একাংশ ফুঁ দিলেই এনসিপি উড়ে যাবে।
এই বক্তব্যে কিছুটা 'ভূ-কম্পন' সৃষ্টি হলেও, সার্বিকভাবে এটি এখন হয়ে উঠেছে এক নতুন ‘এয়ার ট্রান্সপোর্ট পলিসি’। সূত্র বলছে, এই বিশেষ ফুঁ ট্রেনিং নেওয়া হচ্ছে গুলশানে এক গোপন ঘাঁটিতে। প্রথম ব্যাচে আছেন ৫০ জন ‘ফুঁ-মাস্টার’, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আগে মশা মারার ফুঁ দিয়েই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। এখন তাঁদের টার্গেট মানুষ—বিশেষ করে বিরোধী দল ও অবাধে উড়তে আগ্রহী সাধারণ নাগরিক।
এই সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোতে শুরু হয়েছে এক চরম আতংক। বিমানের এক কর্মকর্তা নিজের ইনস্টাগ্রামে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে জসিমের কম্পিটিশন মিমটি শেয়ার করেছেন। এছাড়া এয়ারপোর্টকে নো ফুঁ জোন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে, এয়ারপোর্টে গরম চা কিনে খেলেও কেউ চায়ে ফুঁ দিতে পারবেন না।
এই 'ফুঁ সার্ভিস' নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি ফুঁ দিয়েই সরকার পরিবর্তন, ঘর থেকে ঘর উড়িয়ে নেওয়া এবং বিদেশ সফর করা সম্ভব হয়, তবে ভিসা ও পাসপোর্ট বিভাগের আর কোনো দরকার নেই।
বিশ্বের প্রথম ‘ফুঁ অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে বিএনপি ইতিমধ্যে কাতার, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়ায় প্রতিনিধি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। পশাপাশি তারা নিজেদের ফুঁয়ের ১০% জমা রাখছেন প্রয়োজন হলে লন্ডনে গিয়ে দেশনেতাকে ফুঁ দিয়ে দেশে পাঠাবেন যাতে এয়ার টিকিটের খরচ বাঁচিয়ে সেটি পার্টি ফান্ডে রাখা যায়।