sarahah-তে প্রশ্ন পেয়ে বিব্রত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

৩৫৬৭ পঠিত ... ২০:৫৩, জুলাই ৩০, ২০১৭

সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক তেজস্বী প্রেমিকের ছবি। তার গোফ, মুচকি মুচকি হাসি, গলার টাই, সব কিছুতেই যেন অনন্ত যৌবন। সেই তিনি কিনা আজ সারাহাহ ডট কমের প্রশ্নবানে জর্জরিত! 

নিজের সারাহাহ অ্যাকাউন্টের প্রশ্নগুলো দেখে প্রচন্ড বিব্রত হয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিমর্ষ মুখে এই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি নিজে একজন 'সাবেক'। আমি জানি আমার সাবেকরাও আমার উপর ক্ষিপ্ত। তারাই হয়তো উড়াধুরা প্রশ্ন করছে। 

আজ মধ্যরাতে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলতে শুরু করেন। তবে মাঝে মাঝে হাতের আইফোন-এ তিনি ফ্রেন্ডদের মন্তব্য পড়ছিলেন আর মিটিমিটি হাসছিলেন। 

পকেট থেকে চিরুনি বের করে ব্যাক-ব্রাশ করতে করতে এরশাদ বলেন, 'কোন এক সুন্দরী রমনী জানতে চেয়েছেন আমি সিঙ্গেল কিনা। এই প্রশ্নটা দেখে আমি প্রচন্ড বিব্রত হয়েছি। আমি যে সিঙ্গেল তা আর কতভাবে বললে আপনারা বিশ্বাস করবেন?'

এসময় পাশ থেকে রওশন এরশাদ 'মশারি টানায়া দিয়া যাও' বলে উঠলে এরশাদ 'এক্সকিউজ মি' বলে কিছুক্ষনের জন্য অফলাইনে চলে যান। 

পুনরায় লাইভে আসলে এরশাদের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা যায়। রুমাল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে তিনি বলেন, এখনো আমি যতটা ফিট আজকালকার চ্যাংড়া পোলারাও এত ফিট না। অথচ একজন প্রশ্ন করেছে, 'পারবেন তো?' এরপর নিজের মুখ ক্যামেরার কাছে এনে শীতল গলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, 'এখন কি আমাকে লাইভে দেখাতে হবে পারি কিনা? রাজনীতি লাইভে দেখানোর জিনিস না।' 

প্রতিটা নাগরিককে গঠনমূলক প্রশ্ন করা জানতে হবে এমনটা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, 'আমার বয়স চল্লিশ কবে হবে, লং ড্রাইভ পছন্দ করি কিনা, উইকেন্ডে কোথায় যাবো, এসব জিজ্ঞেস করুন।' 

এসময় তাকে গ্লাসে করে বরফ দিয়ে লাল রঙ-এর তরল পদার্থ পান করতে দেখা যায়। এক ঢোক খেয়ে তিনি দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলেন, 'আজকের রঙ চা বেশি কড়া হয়ে গেছে।'  তবে রঙ চা এর ভিতরে বরফ কেন দিয়েছেন এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি। 

দ্বিতীয় গ্লাস রঙ চা পান শেষে এরশাদ লাল চোখে বলেন, 'একজন আমাকে সারাহাহতে জিজ্ঞেস করেছে যে, আমি কোন পজিশন পছন্দ করি। আমার পছন্দের পজিশন একটাই আর তা হল--প্রেসিডেন্ট। ইউ নো, দেশের প্রেসিডেন্টের পজিশনটাই আমি ডিজার্ভ করি।' 

নিজেকে একজন 'মোটিভেশনাল স্পিকার' দাবি করে এরশাদ বলেন, 'অনেক নায়িকারাও আমাকে প্রশ্ন করেছে। জানতে চেয়েছে সংসারে শান্তির জন্য কি করবে। তাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা। নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। হেরে যেও না।' 

এসময় একজন ফলোয়ার কমেন্টে প্রশ্ন করেন, কিভাবে বুঝলেন তারা নায়িকা? এই প্রশ্ন দেখে এরশাদ উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'কারন তারা পরে মেসেঞ্জারে নক দিয়ে পরিচয় দিয়েছে। এইটুকু বুঝতে পারো না। মূর্খ কোথাকার।' 

তারপর হুট করে এরশাদের মুখটা লাজুক হয়ে যায়। লাজুক মুখে তিনি বলেন, 'একটা মেয়ে আমাকে তিনবার 'ভালোবাসি' লিখেছে। অথচ সে এখনো মেসেঞ্জারে নক দেয়নি। প্লিজ তোমার পরিচয় দাও। প্লিজ প্লিজ প্লিজ!' 

এসময় সেখানে রওশন এরশাদ কমেন্ট করে বলেন, 'বুড়ো মিনসের ভিমরতি গেলো না। ওই মেসেজ আমি দিয়েছিলাম।'   

কমেন্ট দেখার সাথে সাথে এরশাদ লাইভ থেকে চলে যান। কিছুক্ষন পর তাকে 'ফিলিং ডিজঅ্যাপয়েন্টেড' লিখে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়।

৩৫৬৭ পঠিত ... ২০:৫৩, জুলাই ৩০, ২০১৭

Top