সারা বিশ্বের নানা প্রান্তে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় মানবতার জন্য কাজ করা মানুষদের। কিন্তু এবার একটি নতুন ক্যাটাগরি যোগ করার ঘোষণা দিয়েছে নোবেল কমিটি—নির্লজ্জতা ক্যাটাগরি। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হবে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ নেতাদের।
নোবেল কমিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করছি যে নির্লজ্জতার একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ নেতারা। গণহত্যা, দমন-পীড়ন, দেশ ছেড়ে পালানো, এরপরও অনুশোচনার বিন্দুমাত্র লেশ না থাকা—এমন অসাধারণ দক্ষতা আমরা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাইনি।
নির্লজ্জতার জন্য বিশেষ এই পুরস্কার পাওয়ার পেছনে কয়েকটি ঘটনা বিশেষ অবদান রেখেছে। গত জুলাই মাসে দেশব্যাপী চলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত ছাত্রকে হত্যা করা হয়। এমন নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর জনরোষের মুখে আওয়ামী নেতারা জার জার ওবস্তান থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এরপর কিছুদিন গর্তে থাকলেও সম্প্রতি গর্ত থেকে বের হয়ে ভারতীয় বিভিন্ন নিউজ মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা শুরু করেন এসব নেতারা। কেউ কেউ আবার নিজেদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছেন বলেও জানান। এমনকি গণতন্ত্রকে মাটিতে মিশিয়ে ফেলা এসব আওয়ামী নেতারা সামনে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আশা করেন বলেও জানিয়েছেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার সক্রিয় হতে শুরু করা এসব নেতাদের কেউ কেউ হুমকি দিয়ে জানাচ্ছেন, তারা শিগগিরই ফিরে এসে আবার ‘অর্জিত’ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরকম হুমকিসূচক বক্তব্যের মাধ্যমে এ্সব নেতারা নির্লজ্জতায় পিএইচডির সমান যোগ্যতা লাভ করেছেন। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, নির্লজ্জতার দিক থেকে আওয়ামীলীগ নেতারা এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন, যেখানে অন্য কোনো দলের রাজনীতিকদের পৌঁছাতে কয়েকবার জন্ম নিতে হবে। তাদের আচরণ শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই নির্লজ্জতার আদর্শ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে নোবেল কমিটির এই ঘোষণার পর নেতারা নিজেদের মধ্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। লাইভে এসে তাদের আপা কিছুটা হতাশ হয়ে বলেন, আফসোস যদি আগে জানতাম মানুষ মেরে আর একটু নির্লজ্জ হলে নোবেল পাওয়া যায়, তাহলে এতগুলো রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিতে হতো না। যাইহোক নোবেল আমি পাব না তো কে পাবে? রাজাকারের বাচ্চারা?
সাধারণ জনগণ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটাই তাদের আসল স্বীকৃতি হওয়া উচিত ছিল। আবার কেউ কেউ বলছেন, শুধু নির্লজ্জতা নয়, এর সাথে টাকাপাচার, চুরি এসব ক্যাটাগরিগুলো নোবেলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক, তাহলে প্রতিবছর কয়েকটা করে নোবেল আমাদের দেশে অবশ্যই আসবে।