ঢাকার মোহাম্মদপুরের নানা জায়গায় গতরাতে ছড়িয়ে পড়েছিল এক রহস্যময় ধোঁয়া। এই ধোঁয়ার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে পুরো সোশ্যাল মিডিয়া, সবার আকর্ষণ এখন মোহাম্মদপুরের দিকে। তবে সবচেয়ে বড় চমকটি হলো, এই ধোঁয়া আমেরিকার বিশ্বখ্যাত র্যাপার স্নুপ ডগকেও আকৃষ্ট করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার এক রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যার ডিনারে সবজি খেতে খেতে তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন, এই বোরিং বাতাস আমার আর ভালো লাগছে না। শুনেছি বাংলাদেশে নাকি মোহাম্মদপুর নামে একটা জায়গা আছে, যেখানে কেবল ধোঁয়া আর ধোঁয়া! আমাকে ওখানে কেউ নিয়ে চলো, ওখানে গিয়ে ধোঁয়ার আসল স্বাদটা নিতে চাই।
স্নুপ ডগ দেশে আসতে চাইলেও তার একটা শর্ত আছে, যেটা পূরণ করার আশ্বাস পেলেই তিনি আসবেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে তখনই আসবেন যদি তাকে উন্মুক্ত মাঠে ধোঁয়ার গার্ড অব অনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়! যদি ভালোমতো ধোঁয়া না পেলাম, তাহলে আমার ট্রিপই বিফলে যাবে, বলেছেন স্নুপ ডগ। যিনি এরইমধ্যে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
স্নুপডগের আসার খবরে মোহাম্মদপুরের ধোঁয়া সেবকদের মাঝে শুরু হয়েছে আগাম উদযাপন। এলাকার এক পরিচিত ধোঁয়া সেবক বলেন, এ তো আমাদের জাতীয় গর্বের ব্যাপার! স্নুপ ডগ আসলে আমরা এমন উৎসব করব যে সারা বাংলাদেশে রাতভর ধোঁয়া উড়বে। উনি যেন আমাদের ‘ধোঁয়ার রাজধানী’ তকমাটা নিজ মুখে ঘোষণা দেন, সেটাই আমাদের দাবি!
এদিকে, মোহাম্মদপুরের সবজি বাজারেও স্নুপ ডগ ইফেক্ট পড়েছে। ধোঁয়ার এ সুযোগে এলাকার সবজির হাটে চলছে বিশেষ অফার আর ছাড়। এক সবজি বিক্রেতা বলেন, স্নুপ ডগ যদি মোহাম্মদপুরে এসে ১০০ গ্রাম সবজিও কেনেন, তাতেই আমাদের এলাকাতে সবজির দাম ১০ গুণ বেড়ে যাবে। এছাড়া ‘স্নুপ ডগ সবজি’ নামক নতুন ব্র্যান্ড তৈরি করা যায় কিনা, সেটাও ভাবছি।
মোহাম্মদপুরের জনপ্রিয়তার এই উত্থানে কিছু রাজনৈতিক নেতাও বেজায় খুশি। তারা বলছেন, ধোঁয়ার এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় বাজার ধরতে আমরা মোহাম্মদপুরকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছি। এখন থেকে মোহাম্মদপুর হবে ধোঁয়ার রাজধানী। সারা বিশ্ব থেকে দলে দলে মানুষ মোহাম্মদপুরে এসে বিনে পয়সায় ধোঁয়া সেবন করতে পারবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। মোহাম্মদপুরের মানুষ এখন তাকিয়ে আছে, কবে ধোঁয়ায় মোড়ানো তাদের এই এলাকাটি বিশ্বখ্যাত র্যাপার স্নুপ ডগের পদধূলিতে ধন্য হবে।