দেশের মানুষের সামনে এসেছে নতুন এক আলোচনার বিষয়বস্তু। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ার পর থেকেই এই ‘ফ্রিজ’কে কেন্দ্র করে সারা দেশে উচ্ছ্বাস। দেশের প্রায় সর্বত্র মানুষ এখন এই বিরাট ফ্রিজকে তাদের নিত্যদিনের সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে দেখছে। বিশেষ করে মাছ-মাংস পচে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায়।
নবাবগঞ্জের বাসিন্দা রহিম মিয়া, যিনি কিছুদিন আগেই তীব্র গরমের কারণে তার ফ্রিজ খারাপ হওয়ায় মহাবিপদে পড়েছিলেন, এবার তিনি যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। বাজার থেকে কিনে আনা মাছ-মাংস প্রতিদিনই পঁচে যাচ্ছে বলে তার চিন্তার অন্ত ছিল না। কিন্তু হঠাৎই খবর পেলেন যে, বসুন্ধরার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেছে! মুহূর্তের মধ্যে তার সমস্যার সমাধান খুঁজে পেলেন তিনি। আনন্দে উচ্ছ্বসিত রহিম মিয়া বললেন, বসুন্ধরার ফ্রিজে আজ থেকেই আমার মাছ-মাংস রাখব। এখন আর কোনো টেনশন নেই। শীতের মতোই ঠাণ্ডা থাকবে সব!
রহিম মিয়ার মতো হাজারও মানুষ এই ফ্রিজে নিজেদের মাছ-মাংস রাখার জন্য আশায় বুক বাঁধছে। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাছ-মাংসের গাড়িগুলো দলে দলে ঢাকায় ছুটে আসছে বসুন্ধরার এই ফ্রিজে জায়গা পাওয়ার জন্য। সিলেট থেকে মাছের ট্রাক, খুলনা থেকে গরুর মাংস, কুমিল্লা থেকে মুরগি—সবাই বসুন্ধরার বিশাল ফ্রিজের দিকে দৌড়াচ্ছে যেন তারা নিজেদের খাবারকে নিরাপদ রাখতে পারে। কোল্ড স্টোরেজের চেয়ে ভালো বিকল্প আর কীই বা হতে পারে!
রাজধানীর ধোলাইখাল থেকে এক ব্যবসায়ী মজা করে বলেন, আমি তো বুঝে ফেলেছি, এখন থেকে মাছ মাংস সংরক্ষণের ব্যবসাই করব। বসুন্ধরার ফ্রিজ তো আর সহজে অফ হবে না!
এই ফ্রিজের খবর ইতিমধ্যেই সারা দেশে মানুষের হৃদয়ে আশা জাগিয়েছে। আর দেশের আর্থিক অবস্থা কীভাবে খারাপ হবে, যদি এমন বিশাল একটা ফ্রিজ সবার মাছ-মাংসকে ঠান্ডা রাখতে পারে?