শরৎ এসেছে। প্রকৃতিতে ঢেউ তুলেছে কাশফুল আর বর্ষায় হঠাৎ দেখা পাওয়া কদম। তবে এই ফুল দুটি নিয়ে প্রেমিক/প্রেমিকা সমাজের যে সংগ্রাম, তা এখন আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। তারা কাশফুল ও কদমকে জাতীয় ফুলের মর্যাদা দিতে মাঠে নেমেছে, কারণ এই দুটি ফুল ছাড়া তাদের প্রেমিক জীবনের কল্পনা করা দুঃস্বপ্নের মতো।
বর্ষায় কদম খোঁজার মিশনে নেমে যায় হাজারো প্রেমিক। খুঁজতে খুঁজতে এমন অবস্থা হয় যে খুঁজতে খুঁজতে জামা-কাপড় নষ্ট হোক, তবু কদম চাই। কেউ কেউ কদম হাতে দিয়ে প্রেমিকাকে খুশি করতে গিয়ে কদমের গাছ বেয়ে উঠে কোমর ভেঙে বসে থাকে। বর্ষায় হাসপাতালে তাদের তালিকা দিন দিন বাড়ছে প্রতি বছর। অথচ সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই!
শরৎ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রেমিকরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। গোল্ডেন আওয়ারে কাশফুলের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য চেষ্টার কমতি নেই। কোনো প্রেমিক যদি যদি গোল্ডেন আওয়ারে ছবি তুলতে না পারে, তার হতাশার গল্প ছড়িয়ে যায় লোক মুখে। শহরের কেউ কেউ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে কাশফুলের জন্য এক টুকরো জমি কেনার পরিকল্পনা করছেন, যেন কাশফুলের অভাবে প্রেমিকার কাছে মুখ পুড়াতে না হয়।
এই পরিস্থিতিতে, প্রেমিক সমাজ কাশফুল ও কদমকে জাতীয় ফুল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেলে এই ফুলগুলোর সহজলভ্যতা বাড়বে, আর তাদের প্রেমিক জীবন আরও সুখময় হবে। তাই কাশফুলের মাঠে এখন শুধু ফটোশুট নয়, চলছে বিক্ষোভও। ‘কাশফুল জাতীয় ফুল চাই!’—এই স্লোগানে মুখরিত প্রেমিক সমাজ।
তবে আন্দোলনের প্রধান নেতা জানিয়েছেন, যদি দ্রুত কদম আর কাশফুলকে জাতীয় ফুলের স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, নইলে কারও অপেক্ষা না করে নিজেরাই ঘোষণা দিয়ে দিবে।