এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের তদন্ত করছে সিআইডি। তার ব্যাংক থেকে লুট করা টাকার পরিমাণ শুনলেই যেন গা শিউরে ওঠে!
শুধু যে টাকা লুট করেছেন এমন না, বিভিন্ন সময়ে উনি বিভিন্ন চ্যারিটিতে অনুদান দিয়েছেন, অনেক বেকার যুবককে চাকরিও দিয়েছেন। ঠিক যেন রবিনহুড। একদিক থেকে লুট করেন, আরেকদিকে গরিবদের সাহায্যও করেন। এস আলমের এই অসাধারণ মানবিক গুণের কথা বিবেচনা করে তার নাম বদলে রবিনহুড আলম রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অনেক এস আলম ভক্ত।
মাহমুদুল্লাহ নামের এক এসআলম ভক্ত বলেন, উনি তো টাকা একা খাননি, দেশের মানুষকে দানও করেছেন। গরিব মানুষের চিন্তায় ওনার ঘুম আসত না। প্রতিরাতেই ওনাকে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হতো।
এই এস আলম ভক্ত আরও বলেন, নামাজ পড়তে পড়তে মানুষটার কপালে দাগ পড়ে গেছে, চ্যারিটিতে দান করতে করতে রীতিমত ফকির হয়ে গেছেন। সামান্য ব্যাংক লুট আর টাকা পাচারের জন্য ওনাকে বিচারের মুখোমুখি করা একদমই মানতে পারছি না। এরচেয়ে ওই বদের হাড্ডি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগুলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এরাই যত নষ্টের গোড়া।
জানা গেছে এস আলমের জীবনে এই অশ্রুসিক্ত কাহিনি নিয়ে ‘বাংলাদেশের রবিনহুড আলম’ নামে একটা সিনেমা বানানোর কথাও ভাবছেন অনেকে।