বিশ্বজুড়ে মোরাল পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মোরাল পুলিশের নতুন হেডকোয়ার্টার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি মোরাল পুলিশিং হচ্ছে, আর এ কারণে দেশটিকে ‘মোরাল পুলিশিং-এর রাজধানী’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
হেডকোয়ার্টার স্থাপনের প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দেশের নাগরিকদের পোশাক ও আচার-আচরণ সঠিক পথে নিয়ে আসা। বিশেষ করে ওড়না, হিজাব, এবং দাড়ির উচ্চতা নিয়ে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একাধিক ইউনিট কাজ করবে।
মোরাল পুলিশের আইজি এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে মানুষ কাপড় পড়ে, সেটা দেখে আমরা বিস্মিত! কেউ ঠিকমতো ওড়না পরে না, আবার কারো দাড়ি তো লম্বাই হয় না। আমরা চাই, সবাই নীতিমালা মেনে চলুক।
মোরাল পুলিশের নতুন দফতর থেকে প্রতিদিন ‘পোশাক পরিদর্শক’রাস্তায় নামানো হবে, যারা জনগণের পোশাকের দৈর্ঘ্য এবং ধর্মীয় পোশাকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এই বিভাগের আরও উন্নতির জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘মোরাল চেকপোস্ট’বসানো হবে, যেখানে যাত্রীদের হিজাব, দাড়ি এবং ওড়নার সঠিক নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই নতুন মোরাল পুলিশিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে ঢাকার রাস্তায় বোরকা এবং পাঞ্জাবি বিক্রি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বোরকা ও দাড়ি সংশ্লিষ্ট দোকানদারদের মতে, এমন বেচাকেনা আগে কখনো দেখিনি! আল্লাহর রহমতে এখন লোকজন মোরাল পুলিশের ভয়ে হলেও সঠিকভাবে কাপড় পরছে। ছেলেরাও ওড়না কিনছে, মেয়েরা নকল দাঁড়িও কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সাধারণ জনগণ এই পদক্ষেপের প্রতি মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এক তরুণী বলেন, মোরাল পুলিশিং এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হলে আমাদের দেশ হয়ে উঠবে মোরাল হাব। আমাদের দেশ থেকে বিশ্ব দরবারে মোরাল রপ্তানি করলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা করি।
শুধু তাই নয়, মোরাল পুলিশের প্রধান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হবে সামাজিক মাধ্যমে মোরালিটি চেক করা। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে কারো প্রোফাইল ছবি হিজাব ছাড়া থাকলে আমরা সরাসরি ‘মোরাল রিমাইন্ডার’পাঠাব।
মোটকথা, বাংলাদেশ এখন আর শুধু উন্নয়নশীল দেশ নয়, এটি এখন পৃথিবীর প্রথম সারির মোরালিটি হাব।