সম্প্রতি ড. ইউনূসকে কটুক্তি করার অভিযোগ তুলে একটি মামলা হয়েছে পটুয়াখালিতে। মামলার বাদী জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কটুক্তি দেখে ওনার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়, রক্তক্ষরণ সহ্য করতে না পেরে তিনি মামলা করতে একপ্রকার বাধ্য হন।
মামলার বাদী ব্যক্তির হৃদয়ে রক্তক্ষরণের খবর জানার পর চিকিৎসক সমাজ ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর মামলার বাদী কেন প্রথমে তাদের কাছে আসেননি, সেটা কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না! ‘রক্তক্ষরণের চিকিৎসা আমরা দেই, মামলা দিয়ে তো রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না!’ —বলছিলেন একজন অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।
এই ঘটনার পর ফেসবুক চালানোর সময় সাধারণ মানুষকে কিছু সতর্কতা মানার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার সমাজ। তারা জানান, ফেসবুকে ড. ইউনূসসহ অন্য সকল উপদেষ্টা সম্পর্কিত যেকোনো পোস্ট দেখার আগে ভালো করে হৃদরোগের ওষুধ খেয়ে নিতে হবে। তা না হলে কমেন্ট সেকশনে ঢুকে, পোস্ট দেখে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই সমস্যা এড়াতে ফেসবুকে ঢোকার আগে হার্টের ঔষধ খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।
তবে অতি স্পর্শকাতর মানুষদেরকে ফেসবুক চালাতেই নিষেধ করেছেন কিছু ডাক্তার। তারা বলেন, রক্তক্ষরণের পর তো আর সেটা সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না। কেউ কেউ সহ্য করতে না পেরে রক্তক্ষরণে মারাও যেতে পারেন। তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে ফেসবুক না চালানোর।
তাদের মতে, কমেন্ট সেকশনের কমেন্ট দেখে হৃদযন্ত্রের ক্ষতির ক্ষেত্রে ‘মৌলিক চিকিৎসা ছাড়া এখানে কোনো কার্যকর সমাধান নেই।‘ মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন, মামলার বাদীর মতো কষ্টে ভুগবেন না!