৭ সফরসঙ্গী নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন, ড. ইউনূস। তার এমন সিদ্ধান্তের প্রতি দূর গর্ত থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এমন নিচু কাজ এর আগে কোনো মন্ত্রীকে করতে দেখেননি বলেও জানাচ্ছেন অনেকে। দেশের প্রতি ইউনূসের ভালোবাসার এমন কমতিতে তারা সবাই মুষড়ে পড়েছেন। গর্তের ভেতর একটা সুষ্ঠু ভোটাভোটির মাধ্যমে জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে ইউনূসই প্রথম এই কাজ করেছেন। তবে, এই পৃথিবী কাদের পৃথিবী সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
আরও বিস্তারিতভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানার জন্য আমাদের এক প্রতিবেদককে গর্তে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার সাথে কথা বললে তিনি জানালেন, আপনারা আমাদের জনদরদি, মমতাময়ী, করুণাময়ীকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। নিয়ে আসলেন আপনাদের পছন্দের একজনকে। অথচ দেখুন, আপনাদের পছন্দের এই মানুষের আপনাদের প্রতি বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা নেই। যাকে আপনারা বিদায় করেছেন তিনি আর যাই করেন, আমাদের সবাইকে ভালোবেসেছেন। আমার মনে আছে, একবার একটা সরকারি অফিসে লিফট লাগানোর জন্য ৩ জনকে বিদেশ সফরে যেতে বলা হলো। আমাদের সবার মন খারাপ, মাত্র তিনজন! আমাদের নেত্রী আমাদের মনের অবস্থা বুঝতে পারলেন। সেইবার আমরা মোট ২৫ জন গিয়েছিলাম। দেশের বাইরে যেন আমাদের মেন্টাল স্টেট ভালো থাকে, সেজন্য আমাদের সাথে যেতে দেওয়া হয়েছিল আমাদের বউ, বাচ্চা এবং নাতি-নাতনিকেও। শুধু তাই নয়, আমাদের কাজ ছিল ২ দিনের। সেখানে আমরা ২ মাস থেকেছিলাম। এমন একটা রিফ্রেশমেন্টের পর আমরা সবাই দেশে ফিরে দ্বিগুণ হারে জনগণের টাকা মেরেছি, ঘুষ খেয়েছি, রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছি। নেত্রী জানতেন, কীভাবে কী করলে আমাদের দিয়ে কাজ করানো যাবে।
একটা সরকার প্রধান কীভাবে এমন অবিবেচক হতে পারেন? এমন প্রশ্ন তুলে আরেক নেতা বলেন, একটা দেশে ১৬ কোটি মানুষ। আপনি বিদেশ যাচ্ছেন শুধু ৭ জনকে নিয়ে! বাকিরা তাইলে এই দেশের জনগণ না? আমাদের আপা শুধু বিমানের অভাবে ১৬ কোটি মানুষকে সাথে নিতে পারেনি। তবুও তো নিয়েছে, কখনও ২০০, কখনও ৩০০।
গর্ত থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের প্রতিবেদক একটু কায়দা করে জানতে চাইলেন, আপনাদের বিদেশ সফরে পাঠাতে পাঠাতে এখন যে আপনাদের নেত্রী পার্মানেন্টলি বিদেশ চলে গেলেন সবাইকে রেখে। এই বিষয়টা কীভাবে দেখছেন? তিনি সামান্য রেগে গেলেও, নিজের রাগ কন্ট্রোল করে বললেন, তিনি পার্মানেন্টলি যাননি। তিনি ফিরবেন, হয়ত হিন্দু হয়ে, নয়ত আনসার হয়ে, কিংবা আমরা জানি না কী হয়ে!