গতকাল ২৮ আগস্ট, ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যা দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর শুনে সবচেয়ে বেশি খুশি হন ফেসবুক সেনসেশন হিরো আলম, যিনি গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আরাফাতের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং নির্বাচনের দিন মারধরের শিকার হন। এরপর থেকে আরাফাত তার দুই চোখের বিষ হয়ে ওঠেন। শেখ হাসিনার পালানোর খবর শুনে হিরো আলম সংবাদকর্মীদের জানান, আরাফাতকে খুঁজে বের করে গণধোলাই দেওয়া উচিত। ফেসবুকে আরাফাতের গ্রেফতারের খবর পেয়ে হিরো আলম মিষ্টির ঠোঙা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন এবং পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গার্ড, ফ্যান ফলোয়ারসহ যাকে পান তাকেই মিষ্টিমুখ করান।
তবে ঘণ্টাখানেক পর জানা যায় যে খবরটি চালাইদেন সোর্স ছিল; আরাফাতের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানো হলেও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এই খবর পেয়ে হিরো আলমের খুশি মুহূর্তেই কেটে যায়। একটা ভূয়া সূত্র থেকে জানা গেছে, এখন হিরো আলম পুলিশের কাছে তার মিষ্টির টাকা ফেরত চাচ্ছে। এক ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি বলেন, পুলিশ আরাফাতকে গ্রেফতার করেছে বলে আমি এত টাকা খরচ করে মিষ্টি কিনলাম। মানুষজনকে খাওয়ালাম। আরাফাতের গ্রেফতারের খুশীতে মানুষজনও মিষ্টি খাইল। এখন যদি শুনি আরাফাত গ্রেফতার হয় নাই, তাইলে তো মিষ্টি খাওয়া এইসব মানুষের সাথে বেইমানি করা হইল! একজন ডায়বেটিসের রোগীও খুশীতে মিষ্টি খাইছে। এখন তার কী হবে?
এদিকে, নিজের ফেক আইডি থেকে হিরো আলম আরও ঘোষণা দিয়েছেন, আরাফাতকে যেদিন আসলেই গ্রেফতার করা হবে, সেদিন আমি রাস্তায় নেমে মিষ্টি খাওয়াবার জন্য নাও থাকতে পারি। আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা আমার কথা মনে করে নিজেদের মত করে মিষ্টি খেয়ে নিয়েন।
পুলিশের প্রতি অনুরোধ করে হিরো আলম ফেক আইডি থেকে বলেন, আপনারা প্লিজ ওরে ধরেন। আমি সারা দেশের সব দোকানে মিষ্টির অর্ডার দিতেছি। অথবা আরাফাতকে খবর দেন, আমি ওরে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য খুঁজতেছি। এতে ও নিজেই ভয়ে থানায় ধরা দিবে।