আওয়ামী সরকারের পতনের পর মোটামুটি শূন্যতা বিরাজ করছে দেশের চাঁদাবাজিশিল্পে। অনেক জায়গায় সপ্তাহখানেক ধরে চাঁদাবাজি না হওয়ায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে এই শিল্পে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ কিংবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনন্দ থাকলেও হতাশ দেশের চাঁদাবাজ সমাজ। নিয়মিত চাঁদাবাজি করতে না পারায় পেটের ভাত হজম হচ্ছে না অনেক চাঁদাবাজের, গর্তে লুকিয়ে থাকা এক সহমত ভাই আমাদের বলেন, চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হচ্ছে না এমন স্বাধীনতাই কি আমরা চেয়েছিলাম? আমাদের থেকে গেস্টরুম, গণরুম, রাজপথ সবকিছুই তো কেড়ে নিলেন অন্তত চাঁদাবাজির অধিকারটুকু কেড়ে নেবেন না প্লিজ।
অন্যদিকে চাঁদাবাজিকে বাঙালির জাতীয় শিল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে একে বাঁচিয়ে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চাঁদাবাজ দল। দলটির সভাপতি এক খাম্বার নিচে বসে ভিডিও কলে আমাদের বলেন, আমরা বাঙালিরা হচ্ছি এই শিল্পের পিকাসো, আমাদের দেশ থেকে একে কোনোভাবেই হারাতে দেওয়া হবে না। সাধারণ চাঁদাবাজদের আমরা বলতে চাই, আমরা তো আছি ভয় কী বন্ধু জেগে উঠো চাঁদাবাজ। প্রাথমিকভাবে বেশকিছু জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের কর্মীরা তাদের কার্যক্রম চালু করেছেন, আশা করছি ক্ষমতায় যাওয়ার পর ফুল স্কেলে নামতে পারব। আমাদের লক্ষ্য এই শিল্পকে অলিম্পিকে নিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে সোনা নিয়ে আসা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ চাঁদাবাজ ইন্সটিটিউট (বাচাই) নামের একটি স্কুল আমরা চালু করেছি, স্কুলটির দালান নির্মাণের টাকার জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি টিম ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে দিনরাত ডিউটি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন আর বেশকিছু টাকা আমাদের ফান্ডে দিয়েন নাহলে সমস্যা হতে পারে।