অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সম্প্রতি শপথ নিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সুস্থ দেশের আশায় আপামর সাধারণ প্রহর গুণলেও বিপাকে পড়ে গেছেন ড. ইউনূস নিজেই। কেমন সেই মধুর বিপদ, চলুন জেনে নেই।
'চালাইদেন' নামক একটি সোর্স থেকে জানা যায়, ঘুম থেকে উঠে প্রতিনিয়ত লম্বা লাইন দেখা যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় 'যমুনা'-র সামনে। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা সবাই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ডাক্তার ইউনূসকে দেখাতে এসেছেন। কেউ কেউ জানতে চাইছেন, ড. ইউনূস কীসের ডাক্তার?
এর আগেও এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি সংসদে করেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিম।
ফয়জুল (৫৬) নামের এক ভদ্রলোক বলেন, ৩ দিন ধরে পা ভাঙছে। হাঁটতে পারি না। শুনেছি ড. ইউনূস অনেক বড় ডাক্তার। নোবেলও পাইছে। এই ভরসায় তাকে দেখাতে আসলাম...
লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন গর্ভবতী নারী থেকে শুরু করে জ্বর, ঠান্ডা, কাশিওয়ালা রোগীরা।
এদিকে খুব সিরিয়াস রোগীর সংখ্যাও কম নয়। আতিকা (৩৩) নামের এক তরুণী বলেন, কে বা কারা যেন কিছুদিন আগে তার চুল টানতে টানতে উগড়ে ফেলে। এখন মাথার ব্রেইনসহ বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা। খুব সমস্যায় আছি... স্যার যদি একটু দেখে দিতেন... এই বলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তরুণীটি।
এদিকে ঘুম থেকে উঠে বেশ বিপাকে পড়েছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর পর আমিই মনে হয় দ্বিতীয় ব্যক্তি যে এমন সমস্যায় পড়ল। শহীদুল্লাহ্ সাহেব তাও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিতেন। আঁই তো ইগগাও ন ফারি… এই বলে তিনি সারা সকাল মন খারাপ করে বসে থাকেন।
এদিকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মণি নামের (৩০) এক তরুণ চিৎকার করে যমুনার উদ্দেশ্যে বলেন, ড ইউনূস আঁরার চট্টগ্রামের ফুয়া। ইবেরে এক মিনিট চাইতু আইচ্চি। আঁরা চিটাইংগে ইসেপপেবত গর্ববুধ হরি...
এরপর ড. ইউনূস আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি। তিনি বারান্দায় এসে রোগীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে, হাসি বিনিময় করে তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।