১#
শিক্ষক: বিদ্যুৎ বিভাগের মালিক কে, বলো তো নান্টু?
নান্টু: আমার মামা, স্যার।
শিক্ষক: বলে কি ছেলে! তোমার মামা মালিক হতে যাবেন কেন?
নান্টু: কারণ বিদ্যুৎ চলে গেলেই বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘শালার কারেন্ট আবার গেল!’
২#
সকালে চায়ের টেবিলে একখানা ডিটেকটিভ বই ফেলে দিয়ে স্বামী স্ত্রীকে বলল, ‘দারুণ বই, আমি কাল রাত দু’টা পর্যন্ত এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করেছি।‘
: কিন্তু কাল বারোটার পরই লোডশেডিং হয়ে গেল যে। পড়লে কী করে?
: পড়তে পড়তে এতই মগ্ন ছিলাম যে কিছুই টের পাইনি।
৩#
: জানো মা, আপা না অন্ধকারে দেখতে পায়।
: কীভাবে বুঝলি?
: আমি শুনেছি ও-ঘরে অন্ধকারে আপা রফিক ভাইয়াকে বলেছে, ‘একি! আজ শেভ করোনি?’
৪#
খোকন: কিরে দোস্ত কী হইছে? অমন ষাঁড়ের মত ছুটতাছোস কেন?
রোকন: আর কইস না দোস্ত, একটুর জন্য ওর বাপের হাতে ধরা খাইছিলাম…
ঠিক সে সময় কারেন্ট চলে এল, আর রোকনকে দেখে সবাই হেসে উঠল।
রোকন: কীরে তোরা হাসোস কেন?
খোকন: তুই তো...
রোকন: আমি কী?
খোকন: তুই তো মাইয়ার কামিজ পইরা আইছোস...
৫#
নব বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী রাতে ট্রেন ভ্রমণ করছে। হঠাৎ পুরো ট্রেনের ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল। বেশ কিছুক্ষণ পর আবার সব আলো জ্বলে উঠলো।
স্বামী: আগে যদি জানতাম এতক্ষণ অন্ধকার থাকবে, তাহলে এর সদ্ব্যবহার করতাম।
স্ত্রী: কী করতে তাহলে?
স্বামী: আনেকগুলো চুমু খেতে পারতাম।
স্ত্রী: এতক্ষণ তাহলে কে ছিল?
৬#
রফিক সাহেব লোডশেডিং এর অভিযোগ করতে বিদ্যুৎ অফিসে যেয়ে সাথে সাথে ফিরে আসলেন।
: কী গো, অভিযোগ এতো তাড়াতাড়ি করে আসলে?
: না, অভিযোগ করিনি।
: ওমা কেন?
: ওখানে গিয়ে দেখলাম ওদের জেনারেটর চলছে।
৭#
সাকিব একদিন স্কুলে হোমওয়ার্ক নিয়ে যায়নি।
: হোমওয়ার্ক করোনি কেন?
: স্যার লোডশেডিং ছিল।
: তা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিতে।
: স্যার, দেশলাই ছিল না।
: দেশলাই ছিল না কেন?
: ঠাকুরঘরে রাখা ছিল স্যার।
: আচ্ছা, ঠাকুরঘর থেকে নিলে না কেন?
: স্নান করিনি, ঠাকুরঘরে ঢুকবো কী করে?
: উফফফ। তা স্নান করতে কে বারন করেছিল?
: জল ছিলো না স্যার।
: জল কেন ছিলো না?
: পাম্পের মোটর চলছিল না স্যার।
টিচার, এবারে ধৈর্য্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়ে, দাঁত কিড়মিড় করে বললেন, ‘আরে উল্লুক, মোটরটা কেন চলছিল না?’
: স্যার, আপনাকে তো প্রথমেই বললাম যে লোডশেডিং ছিল!
৮#
রিমান্ডে দুই আসামির কথা হচ্ছে…
: তুই এতো ভয় পাচ্ছিস কেন?
: আমি বাহিরে শুনেছি, রিমান্ডে কারেন্টের শক দেয়া হয়। আমার বাবা কারেন্টের শক খেয়ে মারা গেছেন।
: আরে ভয় পাইস না, যেই হারে লোডশেডিং হয় বাতিই জ্বলে না আর কারেন্ট।
৯#
এক ফ্ল্যাটে এক বাচ্চা ছেলে কলিংবেল বাজানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
এক ভদ্রলোক তা দেখে কলিংবেল টিপে জিজ্ঞেস করলেন, এবার কী করব?
: আমি তো পালাবো, আপনি কী করবেন আমি জানি না’
ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে থাকলেন। কারণ তিনি জানেন ২ ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং চলছে।
১০#
কারেন্ট চলে যাওয়ায় এই জোকটা দিতে পারলাম না। আপনারাও এই পর্যন্ত আসতে আসতে কারেন্ট চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন