প্রতিবেশি জোকস
১#
থানায় ঢুকেই ভদ্রমহিলা রাগে ফেটে পড়লেন, ‘ইন্সপেক্টর সাহেব, আমি আমার প্রতিবেশীর বিচার চাই। লোকটা একটা আস্ত বেয়াদব এবং ছোটলোক।‘
ইন্সপেক্টর: কেন? কী করেছে সে?
ভদ্রমহিলা: আমি যখনই তার বাড়িতে উঁকি দিই, দেখি সে-ও উঁকি দিয়ে আছে!
২#
প্রতিবেশীর কুকুরটার চিৎকারে বিরক্ত এক দম্পতি। এক মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠেই গেলেন বাড়ির কর্তা। বললেন, ‘অনেক হয়েছে। আজ এর একটা বিহিত করতে হবে। বলেই হনহন করে বেরিয়ে গেলেন তিনি।‘
কিছুক্ষণ পর ফিরলেন। স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হেনস্তা করে এলে, শুনি?’
কর্তা: কুকুরটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এবার বুঝুক, প্রতিবেশীর কুকুরের চিৎকার কেমন লাগে!
৩#
বন্ধুর নতুন বাসা ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন রকিব। দেয়ালে একটা পিতলের থালা আর একটা হাতুড়ি ঝোলানো দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কী?’
বন্ধু বললেন, এটা একটা, ‘কথা বলা ঘড়ি।‘
রকিব: তাই নাকি? দেখি তো কেমন কথা বলে?
বন্ধু হাতুড়ি দিয়ে থালায় আঘাত করলেন, প্রচণ্ড শব্দ হলো। সঙ্গে সঙ্গে দেয়ালের ওপাশ থেকে প্রতিবেশী চিৎকার করে বললেন, ‘নালায়েক! রাত ১০টার সময় কেউ এত জোরে শব্দ করে?’
৪#
বাড়ির সামনে প্রতিবেশীর বাচ্চাগুলোকে খেলতে দেখে রহমান সাহেব বললেন, বাচ্চারা, খেলছ ভালো কথা। কিন্তু আমার গাড়িতে যেন বল না লাগে।
এক বাচ্চা বলে উঠল, ‘অবশ্যই আঙ্কেল, আপনার গাড়িটাই তো আমাদের গোলপোস্ট। আমরা গোল হতে দিলে তো!’
৫#
এক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুসন্ধানের কাজে গেছেন গোয়েন্দা।
গোয়েন্দা: গত রাতে পাশের বাসা থেকে আপনারা কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছেন?
প্রতিবেশী: নাহ্! গোলাগুলি, চিৎকার আর ওদের কুকুরটার চেঁচামেচির যন্ত্রণায় কিছু শোনাই যাচ্ছিল না!
৬#
বৃদ্ধ স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তাকে দেখতে এসেছে প্রতিবেশি।
স্ত্রী: এদিকে তাকিয়ে দেখো তো, তোমাকে কে দেখতে এসেছে! পাশের বাড়ির অরুনা ভাবী।
স্বামী: ১০ বছর আগে কোনোদিন ওর দিকে তাকিয়ে দেখতে দিলে না, এখন এই বয়সে তাকিয়ে আর কী করব?
৭#
প্রতিবেশীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
: ভাই, আপনার কাজের লোকটা প্রতিদিন কাজে আসে, একদিনও ছুটি কাটায় না। এজন্য আমিও তাকে কাজে রাখলাম। কিন্তু আমার বাসায় একদিন আসলে তিনদিন আসে না। পাশের বাসা তাও শুধু আপনার বাসায়ই কাজ করে চলে যায়। আপনার ভাই প্রতিদিন নাস্তা না করেই অফিসে যাচ্ছে।
: ভাই দিনে অফিস করে দেখেই আসে না। আমার অফিস তো রাতে।
৮#
লিফটে প্রতিবেশীর পাশে তার স্বামীকে দাঁড়িয়ে মজা করতে দেখে এক মহিলা ভীষণ হিংসা বোধ করছিলেন। হুট করে প্রতিবেশী তার স্বামীর গালে এক চড় মেরে বলল, ‘আপনার মত পুরুষের জন্য এটাই উচিৎ শিক্ষা। ভবিষ্যতে আর কখনো কোন মেয়ের গায়ে চিমটি কাটবেন না।‘
লিফট থেকে বেরিয়ে এলো সবাই…
: আমি ওকে চিমটি কাটি নি।
: আমি জানি, আমি কেটেছি।
৯#
১ম প্রতিবেশী: এখানকার পরিবেশ যাচ্ছেতাই। আমরা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছি
২য় প্রতিবেশী: তাই যান, আপনারা চলে গেলে আমরাও একটা ভালো পরিবেশ পাব।
১০#
বাড়িওয়ালা এসে ভাড়াটিয়াকে বলছে…
: আপনার প্রতিবেশীতো প্রত্যেক মাসের ভাড়া ঠিকঠাক সময়েই দিয়ে দেয়। ওটা দেখেও তো আপনি ভাড়া সময়মতো দিতে পারেন।
: আমিও ভাড়া সময়েই দিতাম যদি না সে প্রত্যেক মাসে ভাড়া দেয়ার আগে আমার থেকে টাকা হাওলাদ না নিত।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন