১#
একটা বিয়ার কোম্পানিতে বিয়ারের স্বাদ পরীক্ষা করার জন্য লোক নিয়োগ দিচ্ছিল। বাজে চেহারার এক মাতাল ইন্টারভিউ দিতে এল। কোম্পানির ডিরেক্টর একে দেখেই বাতিলের খাতায় রেখে দিলেন।
কিন্তু ইন্টারভিউ দিতে যখন এসেছে, তখন তো ইন্টারভিউ নিতেই হবে।
প্রথমে একগ্লাস বিয়ার দেয়া হলো। মাতাল সেটা একটু খেয়ে সব উপকরণের সঠিক নাম বলে দিল। ডিরেক্টরের ভুরু কুঁচকে গেল।
এবার আরেক গ্লাস দেয়া হলো। সেটাও ঠিক মতো বলে দিল।
ডিরেক্টর এবার তার সেক্রেটারিকে ইশারা দিয়ে কিছু করতে বললেন।
সেক্রেটারি গ্লাসে ইয়ে করে নিয়ে এসে মাতালের সামনে রাখল।
মাতাল একটু খেয়ে বলল, ‘খুব সুন্দরী, বয়স ২৬ বছর, তিন মাসের প্রেগন্যান্ট। আমাকে চাকরিটা না দিলে আপনার স্ত্রীকে গিয়ে বলে দেব বাবাটা কে।‘
২#
ইন্টারভিউ দিতে এসেছে এক চাকরিপ্রার্থী।
: আপনার বয়স কত?
: ত্রিশ বছর।
: আপনি কত বছর চাকরি করেছেন?
: পঁয়ত্রিশ বছর।
: এটা কী করে সম্ভব?
: ওভারটাইম করেছি, স্যার
৩#
একজন বিখ্যাত অভিনেতার ইন্টারভিউ নিচ্ছে পত্রিকার সাংবাদিক।
: আচ্ছা আপনি তো যে কোনো মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন?
: হ্যাঁ পারি, শুধু নিজের চরিত্রটাই ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি।
৪#
রেলওয়য়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হলো। চেয়ারম্যান একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।
: ধর, একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। কী করবে তুমি?
: লাল নিশান ওড়াব।
: যদি রাত হয়?
: লাল আলো দেখাব।
: লাল আলো যদি না থাকে?
: তা হলে আমার বোনকে ডাকব্।
: বোনকে! তোমার বোন এসে কী করবে?
: কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন-অ্যাক্সিডেন্ট দেখার।
৫#
একটি মেয়ে রিসিপশনিস্ট পদের জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেল। এবং তাকে প্রশ্ন করা হল তিনি কত বেতন চান। এর উত্তরে তিনি বললেন, ‘৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) দিলেই চলবে।‘
সাথে সাথে প্রশ্নকর্তা তাকে বললেন, ‘আচ্ছা তাই কথা থাকল, ৫০,০০০ টাকার সাথে ধানমণ্ডিতে এবং গুলশানে একটা করে ফ্ল্যাট, ২টা গাড়ি যার সকল খরচ আমাদের, ১০,০০০ টাকার মোবাইল বিল, সপ্তাহে মাত্র ১দিন ৪ ঘণ্টা ডিউটি করলেই হবে।‘
এই শুনে তো ঐ মেয়ে মহা খুশি। ‘স্যার আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। এত কিছু? আচ্ছা স্যার বলেনতো আপনি মজা করছেন না তো?’
প্রশ্নকর্তা: হ্যা মজাই করছিলাম, কিন্তু এই মজা করাটা আপনিই প্রথম শুরু করেছেন।
৬#
চাকরীর ইন্টারভিউ চলছে…
বস: আমরা কাউকে চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে মাত্র দুইটা রুল ফলো করি।
অনন্ত: কী কী স্যার?
বস: আমাদের দ্বিতীয় রুল হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। আপনি কি এখানে আসার আগে রুমের বাইরে রাখা ম্যাট এ জুতোর তলা মুছে এসেছেন?
অনন্ত: হ্যাঁ স্যার।
বস: আমাদের প্রথম রুল হলো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাইরে কোন ম্যাট ছিলোই না!
৭#
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে তিন বন্ধু। বস সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগল।
বস: ধরো সাপ্লাই দেয়ার জন্য যে পরিমাণ দুধ প্রয়োজন, তার চেয়ে ১০ লিটার দুধ কম আছে। তখন তুমি কী করবে?
প্রথম বন্ধু: আমরা আগেই কিছু পরিমাণ দুধ কিনে রাখব।
দ্বিতীয় বন্ধু: আবারও গাভী থেকে দুধ দোহন করব।
তৃতীয় বন্ধু: দুধে ১০ লিটার পানি হলেই চলবে।
বস: তুমি আজই জয়েন করো!
৮#
জলীল গোয়েন্দা বিভাগে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তা: বলুন তো, কেন আসামি সব সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেখে যায়?
জলীল: ওরা বেশির ভাগ সময় অশিক্ষিত হয়, তাই আঙুলের ছাপ রেখে যায়। শিক্ষিত হলে অবশ্যই সাইন করে যেত।
৯#
চাকরির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছিল এক যুবক।
: পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত?
: সঠিক দূরত্ব আমার জানা নেই। তবে এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারি, সূর্য যত দূরে কিংবা কাছেই হোক না কেন চাকরিটা যদি পাই তা হলে তার সাধ্য নেই যে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।
১০#
ইন্টারভিউ বোর্ডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হলো, বলো তো, ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল’এর ইংরেজি কী হবে?
: এটার ইংরেজি পারি না স্যার, আরবিটা পারি।
: ঠিক আছে বলো।
: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন