পরীক্ষার হলে যে দশ রকমের পরীক্ষার্থী আপনি পাবেনই পাবেন

৬৩১ পঠিত ... ১৭:২৬, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২

Porikkhar-hall

পরীক্ষার হলে আপনার আমার মতো অনেকেই পরীক্ষা দেয়। এই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আবার বিশেষ কিছু গুণ আছে যা দিয়ে তাদের সহজেই আলাদা করা যায়। আসুন তাহলে দেখে নিই কারা এই ১০ রকমের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পড়েন।  

 

১#

নকলবাজ পরীক্ষার্থী। নকলের হেন কোনো সায়েন্স নেই তারা জানে না। তার সাথে কথা বলতে গেলে দেখা যাবে, আপনার কপালেও সে নকল লিখে এনেছে!

 

২#

এই পরীক্ষার্থীরা সারাবছর পড়াশোনার ধারে কাছেও যায় না। কিন্তু একটা জিনিস খুব মনোযোগ দিয়ে করে সেটা হচ্ছে, ‘চোখ ভালো থাকার জন্য সবরকম শাক-সবজি খায়।’ এদের মধ্যে আবার কিছু অতিমাত্রায় ভালো হয়। এরা আপনারটা দেখে লিখবে এবং কোনো বানানে ভুল হলে সেটাও ধরিয়ে দেবে। কারণ আপনার থেকে বেশি আপনার পেপার তারাই পড়ে। 

 

৩#

এই দলের পরীক্ষার্থীরা পড়ালেখা করলেও তাদের কিছুই মনে থাকে না। তাই তারা শুধু ধারণা নিয়ে যায়, কিন্তু সেটাও ভুলে যায়। তবু তারা খাতা ফাঁকা রেখে আসে না একদমই। এদের বিশেষ গুণ হচ্ছে এরা ম্যাথও বানিয়ে লিখতে জানে এবং নতুন অনেকগুলা সূত্র আবিষ্কার করেও রেখে আসে।

 

৪#

এরা হচ্ছে সেই পরীক্ষার্থীরা যারা পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায়ই ‘লুজ শিট, লুজ শিট’ বলে চিল্লানো শুরু করে। কয়টা প্রশ্নের আন্সার করতে পারল ওটা তাদের জন্য ফ্যাক্ট না, লুজ শিট ৫০টা নিতে পারলেই এরা খুশি।

 

৫#

ওরা আসলে ওয়াশরুমে ইয়ে ত্যাগ করতে না বরং প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করতে যায়। ওরা খুব গোপনে টয়লেটের মধ্যে গাইড বই রেখে আসে আর ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে উত্তর মূখস্ত করে আসে।

 

৬#

ওদের আসলে পরীক্ষা নিয়ে কোনো চিন্তাই থাকে না। ওরা গান শুনতে শুনতে হলে যায়, যা পারে লিখে যা পারে না লিখে না। আবার গান শুনতে শুনতে চলেও আসে।

 

৭#

হলের দায়িত্বরত টিচাররা কী গল্প করছেন, তাদের নাস্তায় কী খেতে দিলো এদিকেই থাকে একদলের বিশেষ নজর। মাঝেমধ্যে দুই একটা উত্তরও দিতে চায় কিন্তু পারে না বলে মন খারাপ করে বসে থাকে।

 

৮#

এরা হচ্ছে অনেক বিরক্তিকর। এরা নিজেরা ভালোমত দেখতে পারে না আর এত বাজে ভাবে দেখে যে যারটা দেখে লিখছিল তাকে নিয়েই ধরা খায়।  

 

৯#

ওদের কাজ হচ্ছে পুরা হলরুম ট্রাভেল করা। ওরা একটু পর পর দেখাদেখি করার জন্য স্যারদের হাতে ধরা পরে আর তারপর সিট চেঞ্জ করে। ৩ ঘণ্টার পরীক্ষায় ওদের ৩০বার সিট চেঞ্জ হয়।

 

১০#

তারা পারলে বাসা থেকে কাঁথা, কম্বল নিয়ে যাবে শুধুমাত্র উত্তরপত্র ঢেকে লিখার জন্য। ওদের জীবনের সব পরিশ্রম ওরা এই উত্তরপত্র ঢেকে লিখতেই ঢেলে দেয়।

৬৩১ পঠিত ... ১৭:২৬, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top