১#
বাড়িতে অতিথি এসেছেন। মা ইয়ামিনকে ডেকে বললেন, ‘ইয়ামিন, জলদি অতিথিদের জন্য বাইরে থেকে একটা কিছু নিয়ে এসো তো।‘
দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ইয়ামিন। কিছুক্ষণ পর ফিরল খালি হাতে।
মা: কী হলো? কী আনলে ওনাদের জন্য?
ইয়ামিন: ট্যাক্সি! ওনারা যেন চটজলদি বাড়ি ফিরতে পারেন!
২#
স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছোট্ট সংসার। এর মাঝে একদিন এক অতিথির আগমন।
দিন গড়িয়ে সপ্তাহ পেরোয়, অতিথির আর যাওয়ার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে একদিন লোকটাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটল দু’জন।
পরদিন সকালে উঠেই তুমুল ঝগড়া শুরু করল তারা। ঝগড়া একসময় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেল।
অবস্থা বেগতিক দেখে চুপচাপ লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে পড়ল অতিথি।
অতিথি বেরিয়ে গেলে ঝগড়া থামাল দুজন। স্ত্রীকে বলল স্বামী, ‘ওগো, বেশি লেগেছে তোমার?’
স্ত্রী: আরে নাহ্! আমি তো লোক দেখানো কাঁদছিলাম!
এমন সময় দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল অতিথি, ‘আমিও তো লোক দেখানো গিয়েছিলাম!’
৩#
বাবুল খানের বাড়িতে তার কিছু অতিথি এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন বাবুল। খেতে বসলেন নিজেও।
পাশেই বসেছিলেন তার এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি বাবুলের সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, বাবুলের সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ।
দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, ‘দেখেছেন কাণ্ড? বাবুল কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে।‘
বাবুল হেসে বললেন, ‘আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাশুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!’
৪#
বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার সঙ্গে খাতির জমানোর চেষ্টা করছেন অতিথি।
অতিথি: বাবু, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
ছোট্ট মেয়ে: ক্লাস ওয়ানে।
অতিথি: বাহ্! পাঁচটি ফুলের নাম বলো তো দেখি।
ছোট্ট মেয়ে: দুটি গোলাপ, তিনটি জবা!
৫#
দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিত শীতকালে একটি সাহিত্যসভায় আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। সভার অন্য অতিথিরা অনেকেই দামী শাল ও জমকালো পোশাক গায়ে দিয়ে এসেছেন। শীতের রাতে কনকনে ঠাণ্ডা! দাদাঠাকুরের তাতে কোনো হেলদোল নেই। তিনি এসেছেন খালি গায়ে একটা চাদর জড়িয়ে। যেমন ভাবে সব জায়গায় যান, সেই ভাবেই। দাদাঠাকুরের এই পোশাক দেখে একজন পরিচিত ব্যক্তি বললেন, ‘আপনি এই শীতের রাত্রে অন্তত একটা গরম কাপড় জড়িয়ে আসতে পারতেন। শীত করছে না। আপনার? আমরা তো এত পোশাক পরেও ঠাণ্ডায় কাঁপছি।‘
তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘শীত করবে কেন? পয়সায় গরম হয়ে আছি।
৬#
বাবা অফিসের কাজে ব্যস্ত…
ছেলে: বাবা অতিথির ইংরেজি কী?
বাবা: চুপ অপদার্থ।
ছেলে: সোফার ইংরেজি কি?
বাবা: ওরে গাধা।
ছেলে: আচ্ছা বাবা, বাবার ইংরেজি কি?
বাবা: হারামজাদা বললাম না চুপ কর।
ছেলে: ঠিক আছে।
একটু পর তাদের বাসায় অতিথি আসে...
ছেলে: আসেন অপদার্থ আসেন, গাধার উপর বসেন, হারামজাদা বাথরুমে গেছে।
৭#
এক ভদ্রলোকের পাঁচ ছেলে। এদের নাম, ভাঙ্গা, বাসি, পঁচা, মুত, পাংচার।
একদিন ওদের বাড়িতে এক অতিথি এসেছেন।
বাবা: আপনি এসেছেন? বসেন, বসেন। ভাঙ্গা চেয়ারটা নিয়ে আয়।
অতিথি: না না আমি বসব না।
বাবা: আরে না বসুন, কয়টা ভাত তো খেয়ে যাবেন, বাসি ভাত নিয়ে আয়।
অতিথি: না না খেয়ে এসেছি, খাব না।
বাবা: কিছুই খাবেন না, তা হয় না, পচা দই নিয়ে আয়।
অতিথি: না, না দই খেলে আমার ঠাণ্ডা লেগে যায়, প্লিজ আমি খাবো না।
বাবা: তা কি হয়? কিছু না হোক অন্তত এক গ্লাস জল তো খান। ওরে মুতে জল দে তো।
অতিথি: (ভয় পেয়ে) আমি চললাম পরে আসব।
বাবা: আপনি হেঁটে এসেছেন। আপনাকে কিন্তু আমি হেঁটে যেতে দিব না।
পাংচার সাইকেলটা নিয়ে আয়।
৮#
বাড়িতে অতিথি এসে…
: তোমার ভবিষ্যৎ প্ল্যান কী?
: আপনি গেলে বিস্কুট খাব। ফল আর কোক তো খেয়ে ফেললেন।
৯#
প্রধান ফটকে লেখা আছে, তোতা হইতে সাবধান।
এক অতিথি উঁকি দিয়ে দেখলেন, ভেতরে একটা নিরীহ গোছের ছোট্ট তোতাপাখি বসে আছে।
অতিথি বিড়বিড় করে বললেন, ‘ফাজলামোর আর জায়গা পায় না।’সতর্কবাণীর তোয়াক্কা না করে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াল তোতা। কর্কশ গলায় বলল, ‘জনি, টমি, ভুলু! আক্রমণ!’ বাড়ির কোন থেকে তিনটা বিকট দর্শন কুকুর ছুটে এল!
১০#
বাড়িতে অতিথি বেড়াতে এসেছে বাসায় ছোট বাচ্চার সঙ্গে খাতির জমানোর চেষ্টা করছে…
অতিথি: কাছে এস বাবু আমাকে একটা চুমু দাও। তাহলে তোমাকে পাঁচ টাকা দেব।
বাবু: শুধু ওষুধ খাওয়াতেই মা এর থেকে বেশি দেয়।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন