১#
এক দুষ্ট ছেলে থানায় ফোন করেছে।
– এইটা কি পুলিশ স্টেশন?
– হ্যাঁ।
– আপনি কি পুলিশ?
– হ্যাঁ।
– আপনার থানায় বাথরুম আছে?
– হ্যাঁ।
– আপনার বাথরুমে কমোড আছে?
– হ্যাঁ, আছে।
– তাহলে কমোডের মধ্যে মাথা ঢুকাইয়া বইসা থাকেন। এই বলে ছেলেটি ফোন কেটে দিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ নাম্বার বের করে কলব্যাক করল। ছেলেটির বাবা ফোন ধরল।
পুলিশ অভিযোগ করল, আপনার ছেলে আমাকে কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকতে বলেছে।
– কতক্ষণ আগে বলেছে?
– এই ধরেন ১০ মিনিট।
– তাহলে এখন মাথা বের করে ফেলেন।
২#
আপেক্ষিকতার সূত্র বুঝতে সহজ উদাহরণ: দুজনেরই বেগে চেপেছে। একজন ভেতরে আর আরেকজন বাথরুমের বাইরে দরজার কাছে অপেক্ষারত। দুজনের ক্ষেত্রে সময় একই রকম অনুভুত হবে না।
৩#
১ম বন্ধুঃ জানিস আমাদের বাড়ির সবাই বাথরুমে গান গায় ।
২য় বন্ধুঃ স-বা-ই ?
১ম বন্ধুঃ চাকর-বাকর পর্যন্ত।
২য় বন্ধুঃ তোরা তাহলে সবাই গানের ভক্ত ।
১ম বন্ধুঃ দুর, তা নয় , আসলে আমাদের বাথরুমের ছিটকিনিটা নষ্ট তো…
৪#
: ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’ নামের মুভিটা দেখেছো?
: ওটা তো এখনও বেরই হয় নি!
৫#
: প্রতিদিন সকালে কোন বাণীটা সত্যি বলে মনে হয়?
: ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ!
৬#
একটা লোক পাবলিক টয়লেটে বসে ছিল। হঠাৎ করে পাশের টয়লেট থেকে শব্দ আসলো, 'মিয়া ভাই কেমন আছেন?'
লোকটি অবাক হয়ে বলল, 'হ্যাঁ, আমি ভাল আছি।'
আবার শব্দ আসলো, 'কী করছেন ভাই?' সে চিন্তিত হয়ে উত্তর দিল, 'এইতো ভাই, কমোড এ বসে আছি।'
পাশের টয়লেট থেকে আবার বলল, 'আমি কি আসতে পারি?' লোকটি ঘাবড়ে গেল এবং বললো, 'না না না প্লিজ, আমি ব্যস্ত আছি।'
আবার কন্ঠ শোনা গেল, 'আচ্ছা ভাই, আমি আপনাকে ৫ মিনিট পরে আবার ফোন দিচ্ছি, কোন গাধা জানি আমার সব কথার উত্তর দিয়া আমার লগে ফাইজলামি করতাছে...'
৭#
: ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির তীব্র ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে দেখলেন, কেউ একজন টয়লেট দখল করে বসে আছে। কী করবেন?
: অপেক্ষা।
৮#
এক লোকের খুব বাথরুম পেয়েছে। বাথরুমে যাবে, ঠিক এমন সময় লোডশেডিং। লোকটির বাথরুমের বেগ আরো বেড়ে গেলো। সারা বাড়ি খুঁজে একটা মোমবাতি বের করে সেটা জ্বালিয়ে যেই বাথরুমে ঢুকতে যাবে, ঠিক তখনি এক বন্ধু এসে মোমবাতিটি নিভিয়ে দিয়ে গান গাইতে শুরু করল- হ্যাপি বার্থডে টু ইয়্যূ…হ্যাপি বার্থডে টু ইয়্যূ…।
লোকটি রাগে গজগজ করতে করতে বলল, এইবার আয় তোরে কেক খাওয়াই…
৯#
ছোট ছেলে বাবার কাছে এসে জানতে চাইলো,
—আচ্ছা বাবা, হাইপোথেটিক্যাল আর রিয়েলিটি এ দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?
—আমি বইয়ের ভাষায় বলতে পারি, সেটা শুনতে চাও নাকি একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বলবো?
—বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বলো।
—তা হলে যাও তোমার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করে এসো যে তাকে ৫০ হাজার ডলার দিলে সে কি জনসমক্ষে বাথরুম করবে?
ছেলেটা ছুটে গিয়ে বড় ভাইকে প্রশ্ন করলো-
—আচ্ছা ভাইয়া, তোমাকে ৫০ হাজার ডলার দিলে তুমি কি জনসমক্ষে বাথরুম করবে?
—নিশ্চয়ই।
ছেলে এসে বললো— 'বাবা ও বলেছে করবে।'
—আচ্ছা এবার মেজো ভাইকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো, তাকে ৫০ হাজার ডলার দিলে সে কি দিগম্বর হয়ে জনসমক্ষে একটা ডিগবাজি দেবে?
ছেলে ছুটে গেল মেজো ভাইয়ের কাছে, বললো-
—ভাইয়া, তুমি কি ৫০ হাজার ডলার পেলে জনসমক্ষে দিগম্বর হয়ে একটা ডিগবাজি দেবে?
—দেবো, ৫০ হাজার ডলার বলে কথা!
ছেলে বাবাকে এসে বলল— মেজো ভাই বলেছে ডিগবাজি দেবে।
তখন বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল—তার মানে বুঝলে? হাইপোথেটিক্যালি আমরা মিলিয়নিয়ার। কিন্তু রিয়েলিটি হচ্ছে, এই বাসায় আমরা দুজন উন্মাদকে নিয়ে বাস করি!
১০#
বাবা: তুই সারাদিন এমন চুপ চাপ থাকিস কেন?
ছেলে: কেন বাবা, আমি তো কথা বলি।
বাবা: তোকে অযথা এত বকাঝকা করি, অথচ কিছু বলিস না। প্রতিবাদ করিস না।
ছেলে: কেন বাবা, আমি তো প্রতিবাদ করি।
বাবা: কই করিস? আমি যে দেখি না।
ছেলে: কেন বাবা, তুমি বকা দিলে আমি টয়লেটে যাই।
বাবা: টয়লেটে গেলে কি রাগ কমে? টয়লেটে গিয়ে কী করিস যে রাগ কমে?
ছেলে: টয়লেট ব্রাশ করি।
বাবা: টয়লেট ব্রাশ করলে কি রাগ কমে?
ছেলে: কেন আমি তোমার ব্রাশ (দাঁতের) দিয়ে টয়লেট ব্রাশ করি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন