১#
অফিস থেকে ফিরে হাসান সাহেব তাঁর সাত ছেলেমেয়েক ডাকলেন। বললেন, গত এক সপ্তাহে কে সববচেয়ে বেশি বাধ্য হয়ে থেকেছে? মা যা-ই বলেছেন, তা-ই বিনা বাক্য ব্যয়ে পালন করেছে? তার জন্য পুরস্কার আছে।
এক ছেলে বললো, 'তাহলে আব্বু, পুরস্কারটা তুমিই পাচ্ছো।'
২#
চোর: আপনি মাত্র তিন জনের কথায় আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন, হুজুর!
বিচারক: নিশ্চয়ই।
চোর: একটু সময় পেলে আমিও অনেক লোককে আপনার সামনে দাঁড় করাতে পারি, যারা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবে যে, ওরা কেউই আমাকে চুরি করতে দেখেনি।
৩#
এক নব দম্পতি সিনেমা দেখতে গেছে। সিনেমা দেখছে আর হড়বড় করে কথা বলছে। এতো বেশি কথা বলছে যে পাশে বসা এক দর্শক বিরক্ত হয়ে বললো, আরে ভাই, কী এতো কথা বলছেন? কিছুই তো শুনতে পাচ্ছি না।
নতুন স্বামী: স্বামী-স্ত্রীর কথা আপনি শুনবেন কেন?
৪#
প্রায় আঠার বছর কেইস চলার পর আসামি তার অপরাধ স্বীকার করলো। বিচারক তার কাছে জানতে চাইল সে দোষ স্বীকারই করবে তবে অযথা এতদিন সময় নিল কেন?
আসামী জবাব দিল ‘আমি নিজেই কি নিশ্চিত ছিলাম নাকি? সব সাক্ষীসাবুদের পরই না বুঝতে পারলাম!’
৫#
: বল তো রোম কখন তৈরি হয়েছিল?
: রাত্রে স্যার।
: সে কী!
: কেন স্যার, আমাদের বইয়ে লেখা আছে যে রোম ওয়াজ নট বিল্ট ইন এ ডে।
৬#
: বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে স্যার?
: জানো না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক।
: আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়?
: তারা দেশপ্রেমিক।
৭#
বিখ্যাত এক ওস্তাদের কাছে তরুণ শিল্পী এলো উপদেশ নিতে। ওস্তাব স্বল্পভাষী এবং উপদেশ দিতে রাজি নন। তাও উপর্যুপরি অনুরোধের পর বললেন-
: শুনো বেটা, ওস্তাদদের মতো কখনই চোখ বুজে গান গাইবে না।
: কেন গুরুজী?
: কারণ চোখ খুললেই দেখবে একজন শ্রোতাও নেই।
৮#
সার্জেন্ট: দেখি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
চালক: সে কি আমি তো খুবই সাবধানে গাড়ি চালাই, কাউকে চাপাও দেই নি ধাক্কাও লাগাই নি।
সার্জেন্ট: সে জন্যেই তো... লাইসেন্স থাকার পরও কেউ এতো সাবধানে গাড়ি চালায়?
৯#
এক লোক হন্তদন্ত হয়ে ডাক্তারের কাছে এসে বলল
: ডাক্তার সাহেব সর্বনাশ হয়ে গেছে! কাল রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি আমি ইয়া বড় একটা শসা খেয়ে ফেলেছি।
: আরে! এতে চিন্তার কী আছে?
: কিন্তু সকাল উঠে আমার কোলবালিশটা যে আর খুঁজে না!
১০#
রেস্তোরায় ঢুকে চার-পাঁচ রকম দামি খাবার খেয়ে একটা পান মুখে দিয়ে এক ভদ্রলোক বেয়ারাকে বললেন, এখানকার ম্যানেজারকে একবার ডেকে দাও।
বেয়ারা ম্যানেজারকে ডেকে দিলেল। ম্যানেজার এলেন।
ভদ্রলোক বললেন, আপনি আমাকে চিনতে পারছেন? দুই বছর আগে আগে আমি এই রেস্তোরায় খাওয়ার পর সামান্য ৬০ টাকা দিতে পারি নি। মনে পড়ে সে সময় আপনি বেয়ারাদের দিয়ে আমাকে মেরে রাস্তায় বের করে দিয়েছিলেন।
: আমাদের মাফ করবেন স্যার। সে বার ভুল করে আপনাকে...
: ক্ষমা? ক্ষমার কথা হচ্ছে না। আপনি আপনার বেয়ারাদের ডাকুন। এবারও আমাকে মেরে অপমান করে রাস্তায় বের করে দিক। আজও আমার কাছে কিছু নেই।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন