তথাকথিত সভ্যতার মশালধারী ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো যখন শরনার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছেন না, শরনার্থী দেখলেই বন্ধ করে দিচ্ছেন বর্ডার, তখন বাংলাদেশ স্থাপন করলো এক অনন্য নজির। দেড় লাখেরও বেশি এডিস মশাকে সরাসরি পরিপূর্ণ খাদ্য জোগান দিতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।
দেড় লাখ এডিস মশাকে পরিপূর্ণ খাদ্য দিলেও কোটি কোটি এডিস মশাকে প্রতিদিন নানান সেবার পাশাপাশি বহন করছে সকল ভরণপোষণও। নিজেদের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে, নিজেরা হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়ালেও কিছু হতে দেননি এডিসের। এডিস আছে নিরাপদে। খাচ্ছে, দাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে আর মানুষ মারছে। তবু বাংলাদেশের মানবতাকে একটু টলাতে পারছে না।
মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর।‘ বাংলাদেশ সরকার ও সিটি কর্পোরেশনগুলো এই কাজটি করে আসছে প্রতিদিন। শহর ও গ্রামগুলোকে এডিসের বসবাসযোগ্য করতে করে যাচ্ছে অক্লান্ত পরিশ্রম।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজ বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় একটু লক্ষ করে দেখুন। আমেরিকায় যেখানে মশা নেই বললেই চলে, ইউরোপের শহরগুলোতে মশাদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ করে রেখেছে—সেখানে বাংলাদেশে সেখানে বাংলাদেশ শুধু মশাকে আশ্রয় দিচ্ছে না, তাদের ভালো থাকার জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে নিজেদের তাজা রক্ত।
এডিস মশার প্রজনন ও সংরক্ষণে দেশটি গত ৫০ বছরে যা করেছে তা পৃথিবীর তাবল মানবতার উদাহরণকেও হার মানায়।
মশাদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান ও খাদ্যের যোগানের পাশাপাশি প্রযুক্তি, উন্নয়নেও দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে আলোর গতিতে। আইনের শাসন, দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সেবা, নাগরিক অধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোতেও বাংলাদেশের অর্জন এখন সারা বিশ্বে উদাহরণ। একদিন মশাদের গানের সুরেও বাজবে এই দেশের উন্নয়নের আর মানবাধিকারের কথা। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন