উনিশ'শ সাতচল্লিশ সালের পর ঢাকা থেকে একাধিক পত্রিকা প্রকাশিত হতো। এখন তার অধিকাংশই বিলুপ্ত। ১০৭ নম্বর বংশাল রোড থেকে প্রকাশিত হতো দৈনিক ইনসাফ। উনিশ শ' বাহান্ন সালের দিকেই পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হতো দৈনিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক মিল্লাত। দুটো দৈনিকের মান উন্নত হলেও কোনো পত্রিকাই দীর্ঘজীবী হতে পারেনি। দৈনিক আজাদ প্রথম প্রকাশিত হতো কলকাতা থেকে। ভারত-বিভক্তির কিছুদিন পর আজাদ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হতে থাকে খ্যাতিমান সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সম্পাদনায়। তখনকার পত্রিকার মধ্যে দৈনিক আজাদই ছিল বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা।
ঢাকার নতুন পত্রিকা হিসেবে প্রকাশের পর বেশি সমাদৃত হয় দৈনিক সংবাদ। দৈনিক সংবাদই প্রথম পৃষ্ঠায় সর্বপ্রথম কার্টুন প্রকাশ করে। দৈনিক সংবাদের পর ঢাকায় সবচেয়ে খ্যাতিমান পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। ইত্তেফাক প্রথমে প্রকাশিত হতো সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে।
সাপ্তাহিক ইত্তেফাক বন্ধের পর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রকাশ করেন হক কথা' নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। রাজনৈতিক পত্রিকা হিসেবে 'হক কথা' সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর আরও অনেক পত্রিকাই আসছে এবং গেছে।
এছাড়া বাংলাবাজার থেকে আবদুল কাদিরের সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো মাসিক দিলরুবা। আবদুল কাদির নিজে ভালো সনেট লিখতেন এবং স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার নামানুসারে দিলরুবা পত্রিকা দীর্ঘদিন প্রকাশ করেছিলেন। দিলরুবার বর্ষশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হতো শিশু-সাহিত্য সংখ্যা হিসেবে। ঢাকা থেকে শিশুদের পত্রিকা বেরুত 'আলাপনী' ও 'খেলাঘর'।
মহিলাদের জন্য একাধিক পত্রিকা প্রকাশিত হলেও সব দীর্ঘজীবী হয়নি। মহিলাদের পত্রিকা হিসেবে 'বেগম' জনপ্রিয়তা লাভ করে। এখানে শুধু মহিলা সাহিত্যিকদের লেখা প্রকাশিত হতো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন