যে ‘সত্যি গল্প’গুলো আমরা সবাই আমাদের দাদাদের মুখে শুনেছি

৬৫১ পঠিত ... ১৭:৪২, জুন ১৮, ২০২২

Je-golpogula-sobai-shunechi

আবহমান বাংলার রয়েছে অসংখ্য রূপকথা। যেই রূপকথাগুলো সত্য ঘটনা হিসেবেই শুনেছি আমরা। কেউ বা দাদার মুখে, কেউ বা চাচার মুখে, কেউ বা বাবার মুখে। এমন ৫টি ‘সত্য ঘটনা’ খুঁজে বের করেছে eআরকির গবেষক দল। আপনার শোনা এমন কোন ঘটনা থাকলে শেয়ার করতে পারেন কমেন্ট বক্সে।

 

১#

আমার দাদার চাচা একবার অনেক রাতে বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলো। একটু আসতেই তার সামনে সাদা শাড়ি পড়া এক বুড়ি দাঁড়ালো। বুড়ির পা মাটিতে-মাথা আসমানে। বুড়ি ওনাকে বললো, ‘কীরে কই যাস?’

উনি বললেন, ‘বাড়ি যাই।‘

বুড়ি বললেন, ‘আমার দুই পায়ের মাঝখান দিয়া যা।‘

কিন্তু উনি যান নাই। পায়ের মাঝ দিয়ে গেলেই বুড়ি ওনাকে পা চিপে মেরে ফেলতো।

ওনার হাতে দিয়াশলাই ছিলো। উনি দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালালেন। ওমনি বুড়ি চলে গেলো।

 

২#

একবার তিন কাঠুরিয়া জঙ্গলে কাঠ কাটতে গেছে। জঙ্গলে একটা শুকনা গাছের গুড়ির উপর বসে তারা বিড়ি খাচ্ছিলো। বিড়ি খাওয়া শেষে ওই গুড়িতেই তারা বিড়ির আগুন নিভায়। সাথে সাথেই তাদের তিনজনকে গুড়িটি উল্টিয়ে ফেলে দেয়। ওটা আসলে গাছের গুড়ি ছিলো না, ছিলো একটা অজগর।

 

৩#

একবার আমাদের কোন এক দাদার পরিচিত বন্ধু বাজার থেকে মাছ নিয়ে আসছিলো। পথিমধ্যে হুট করে সে শোনে, পেছন থেকে তাকে কেউ একজন ডাকছে। একটা মাছ চাচ্ছে। কিন্তু উনি পেছনে তাকালো না। কারণ সেটি কোন মানুষ ছিলো না, ছিলো পেতনি। পেছনে তাকালেই তার ঘাড় মটকে দিতো। এরপর উনি পেছনে না তাকিয়েই দোয়া, সুরা পড়ে পড়ে বাসায় চলে আসেন।

 

৪#

আমাদের কারও একজনের মা একবার রাতে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হয়েছিলেন। বাইরে বের হয়ে দেখেন, পাশের বাড়ির এক দাদা কলপাড়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গতকালকে ফেলে দেয়া মাছের আঁইশগুলো খাচ্ছে। এরপর আর মা আস্তে করে ঘরে ঢুকে যায়। ওটা আসলে পাশের বাড়ির দাদা ছিলো না। ওটা ছিলো একটা পেত্নি। দাদার রূপ ধরে আসছিলো। থাকে বাড়ির পাশের জঙ্গলে। মা ছাড়াও আরো দাদি, চাচিরা প্রায়ই তাকে দেখেছে।

 

৫#

বাড়ির পাশে একটা পুকুর আছে। এলাকায় কারো মেয়ের বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠান থাকলে আগের দিন ওই পুকুরের সামনে গিয়ে বললে, পরের দিন পুকুর থেকে সোনার বা রূপার হাঁড়ি, পাতিল, চামচ, প্লেট উঠে আসতো। অনুষ্ঠান শেষে পরেরদিন সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়ে আসতো হতো। কিন্তু একবার এক লোভি লোক একটা সোনার চামুচ রেখে দেয়। এরপর এলাকার এক মুরুব্বিদের পুকুরের এক জ্বিন স্বপ্ন দেখায়। বলে, চামুচ ফেরত না দিলে এলাকার সবাইকে মেরে ফেলবে। পরেরদিন চামচ ফেরত দেয়া হয়। এরপর থেকে আর কখনোই পুকুর থেকে হাঁড়ি, পাতিল উঠে আসেনি।

৬৫১ পঠিত ... ১৭:৪২, জুন ১৮, ২০২২

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top