১৬১০ সালের ৭ জানুয়ারি গ্যালিলিও গ্যালিলি বৃহস্পতি গ্রহের দিকে নিজের দূরবীক্ষণ যন্ত্র তাঁক করেন। তা থেকে তিনি যা পর্যবেক্ষণ করেন, তা পাল্টে দেয় মহাকাশের নানা সমীকরণ।
গ্যালিলিও বৃহস্পতি গ্রহকে পর্যবেক্ষণের সময় দেখতে পান, গ্রহের আশেপাশে তিনটি তারা রয়েছে। পরদিন তিনি যখন আবারো দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতি গ্রহের দিকে লক্ষ্য করে তাকান, তখন দেখেন আশেপাশে তারাগুলো থাকলেও, বদলে গেছে তাদের অবস্থান। অর্থাৎ গ্রহের অপর পাশে চলে এসেছে তারা। তিনি আরো কয়েক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান বৃহস্পতি গ্রহের আশেপাশে তারাগুলো নিয়মিত তাদের অবস্থান অদল-বদল করছে। তিনি প্রথমে এই ‘তারা’ গুলো সত্যি কী বুঝতে না পারলেও ধৈর্য্যের সাথে পর্যবেক্ষণ করে আবিষ্কার করেন তারাগুলোর গতিপ্রক্রিয়া কেপলারের সুত্র মেনে চলে। কেপলার সুত্র ব্যাখ্যা করে সূর্য্যের চারপাশে গ্রহগুলোর গতিপ্রক্রিয়া। আর তার সাথে মিলে যায় বৃহস্পতি গ্রহের নিকটস্থ তারাগুলোর গতিবিধি। আর এ থেকেই প্রমাণ হয় এই তারাগুলো চাঁদ যেমন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে তেমনভাবে বৃহস্পতি গ্রহকেও প্রদক্ষিণ করছে। আর চাঁদ যদি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে তবে এও সম্ভব গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরছে।
আর এ পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া সম্ভাবনাকে এক বছর পরে প্রমাণ করে দেন গ্যালিলিও। অর্থ্যাৎ গ্যালিলিও প্রমাণ করেন আমাদের মহাবিশ্ব সূর্য্যকেন্দ্রিক বা heliocentric. অর্থ্যাৎ পুরো মহাবিশ্বের কেন্দ্র পৃথিবী নয়। বরং সূর্য্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সকল গ্রহ। তার এই আবিষ্কার আক্ষরিক অর্থে বদলে দেয় পুরো পৃথিবীকে। এছাড়াও এ ধারণা থেকে পরবর্তীতে প্রবর্তিত হয় অক্ষ্যাংশ ও দ্রাঘিমাংশের ধারণা।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন